সামসীঃ ফের মৃত্যু হল মালদার পরিযায়ী শ্রমিকের। সংসারে অভাব থাকায় দিল্লিতে কাজে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চাঁচলের এক যুবকের। মৃত শ্রমিকের নাম মনোতোষ দাস। বাড়ি চাঁচল-২ ব্লকের গত চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যদুপুর গ্রামে। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ দিল্লিতে হৃদরোহগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার বিকেলে মৃত শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোতোষের পরিবারে রয়েছে চার ভাই ও এক বোন। বাবা বিমল দাস গত এক বছর আগে মারা গিয়েছেন। মা মীরা দাস সাধারণ গৃহবধূ। বাবার কোনও জমি জায়গা নেই। কয়েক শতক ভিটে বাড়িতে পরিবারের সকলেই থাকেন একসঙ্গে। তাই পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে খাটতে গিয়েছিলেন সুদূর দিল্লি। সেখানে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সে দিল্লিতে স্ত্রী দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন মনোতোষ। শুক্রবার সন্ধ্যাইয় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু ঠিক রাত এগারোটা নাগাদ অসুস্থতা বোধ করেন। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, মনোতোষের মৃত্যুর পর দিল্লি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সড়ক পথে দেহ নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়াবাবদ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে মেটান গ্রামবাসীরাই। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে স্ত্রী মীনাক্ষী দাস এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে এখন দিশাহারা। কিভাবে তাঁদের জীবন চলবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না মীনাক্ষী দেবী।
চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছবি সরকার বলেন, তিনি পঞ্চায়েতের তরফে কিছু ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেবেন মনোতোষের অসহায় পরিবারকে। পাশপাশি তাঁর স্ত্রীর জন্য বিধবা ভাতা ও আবাস যোজনা প্রকল্পে একটি পাকা ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বিডিওকে বলে।