ঘোকসাডাঙ্গা: চলতি মরশুমে মাথাভাঙ্গা-২ (Mathabhanga) ব্লকে প্রচুর বিনস (Beans) চাষ হয়েছে। কিন্তু সবজি হিসেবে বিনসের গ্রহণযোগ্যতা এখানকার মানুষের কাছে কম। অন্যদিকে ফাস্ট ফুড (Fast food) তৈরিতে এক প্রধান উপকরণ হল বিনস। তাই এলাকার চেয়েও বিহার, দিল্লি সহ ভিনরাজ্যে এর চাহিদা বেশি। আর এতেই লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকে উৎপাদিত বিনস পাড়ি দিচ্ছে দিল্লি, কলকাতা সহ ভিনরাজ্যের শহরগুলিতে। চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরাও।
সংশ্লিষ্ট ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা মলয়কুমার মণ্ডলের কথায়, ‘উনিশবিশা, ঘোকসাডাঙ্গা, রুইডাঙ্গা, নিশিগঞ্জ সহ ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় ৭৫ হেক্টর জমিতে এবছর বিনস চাষ হয়েছে। এখানকার বিনস ভিনরাজ্যে যাচ্ছে, এটা ভালো খবর।’
ঘোকসাডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে। এদিন হাট থাকার সুবাদে সেখানে গিয়ে দেখা গেল বিনসের পাহাড়। সেখান থেকে তা বস্তাবন্দি করে দিল্লি, বিহার, কলকাতাগামী ট্রাকে লোড করতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। সমীর সরকার, নিকুঞ্জ সরকার, অমিত সরকার, সুকুমার দাসরা জানাচ্ছেন, ঘোকসাডাঙ্গা হাট থেকে প্রায় ৩০ টন বিনস ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে কিনে ভিনরাজ্যে বিক্রি করছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত এই মরশুমে ঘোকসাডাঙ্গা হাট থেকে প্রায় ১২ বার বিনস কিনে ভিনরাজ্যে পাঠিয়েছেন তাঁরা।
বিনস পাঠানোর কাজে যুক্ত নির্মল সরকার, সমীর দাস, সত্য বর্মনদের কথায়, এরাজ্য সহ গোটা দেশে এখন ফাস্ট ফুডের রমরমা। আর চাউমিন, মোমো সহ নানান ফাস্ট ফুডের উপকরণ হিসেবে বিনসের চাহিদা আকাশছোঁয়া।’ আর এই চাহিদার ফলেই চাষি থেকে শুরু করে যাঁরা রপ্তানির (Export) দায়িত্বে, সকলের মুখেই হাসি ফুটেছে।