শিলিগুড়ি: খালি রয়েছে অ্যাকোয়ারিয়াম। দোকানে কোনও অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছের দেখাই নেই। গোল্ড ফিশ, অ্যাঞ্জেলার মতো অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ কিনতে আসছেন ক্রেতারা। কিন্তু ফিরে যাচ্ছেন বিফলমনোরথ হয়ে। চাহিদা থাকলেও বেনফিশের দোকান ফাঁকা। সেখানে কেবল অ্যাকোয়ারিয়াম সাজানোর কিছু সামগ্রী পড়ে রয়েছে।
কেন এরকম অবস্থা বেনফিশের স্টোরের, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযোগ, অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা দপ্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বেনফিশ মানেই বিভিন্ন রকমের সামগ্রীর সম্ভার। শিলিগুড়িতে মহকুমা পরিষদের পাশেই রয়েছে বেনফিশের দোকানটি। সেখানে একসময় অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের বেনফিশের সামগ্রী রাখা থাকত। কিন্তু সে ছবি এখন বদলে গিয়েছে। দোকানে ঢুকতেই চোখে পড়বে প্রায় ৬টি ফাঁকা অ্যাকোয়ারিয়াম। শহরের বুকে থাকা বেনফিশের এই দোকানটির এমন বেহাল অবস্থা নিয়ে শহরের বাসিন্দাদেরও ক্ষোভ রয়েছে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে স্টোর ইনচার্জ মঙ্গলি সরকার বলেন, ‘অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছের যে চাহিদা রয়েছে তা দপ্তরে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে দ্রুত পাঠানো হবে বলে আমাকে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এখনও আসেনি।’
বেনফিশের দোকান যাতে আরও বেশি করে গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, সেজন্য অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছের পাশাপাশি প্যাকেটজাত শুঁটকি মাছও রাখা হয়েছে। কিন্তু দোকানের এই বেহাল দশায় ক্রেতাদের খুব একটা আকর্ষণ করা যাচ্ছে না। কলকাতায় যেখানে বেনফিশের দোকানে বিভিন্ন রকমের ‘রেডি টু ইট’ থেকে প্যাকেটজাত খাবার রয়েছে, সেখানে শিলিগুড়ির এই দোকানের অবস্থা এরকম কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্মল পোদ্দারের মতো অনেক ক্রেতাই।
একসময় শহরজুড়ে বেনফিশের গাড়িতে করে তাদের খাবারের জিনিস বিক্রি করা হত। সেই উদ্যোগ তো বহুবছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু দোকানটাই রয়েছে। তবে বেনফিশের এই দোকানের অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ খুবই জনপ্রিয়। যেখানে ছোট অ্যাঞ্জেলা ও গোল্ড ফিশের জোড়া ত্রিশ টাকা ও বড় পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি করা হয়। মাছ কিনতে এসে ফিরে গিয়ে তাই পিয়ালি রায় নামে এক ক্ষুব্ধ ক্রেতার অভিযোগ, ‘সরকারি দোকানের অবস্থা এতটা বেহাল কেন, সেদিকে দপ্তরের নজর দেওয়া দরকার।’