মালদা: দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে দুইবারের বিধায়কের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই পঞ্চায়েত ভোটে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস(Congress)। এবার লোকসভায় পুরোনো গড় উদ্ধারের গুরুদায়িত্ব উত্তর মালদার(North Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলমের কাঁধে। দলের টিকিট পেয়ে গনি খানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে প্রচার শুরু করে দিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
একসময়ে রায়গঞ্জ লোকসভা। পরবর্তীতে আসন বিন্যাসের পর উত্তর মালদা লোকসভা। বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। বেশিরভাগ সময় এই লোকসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ডাঃ গোলাম এয়াজদানি, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি, মৌসম নূররা কংগ্রেস সাংসদ হয়ে এই কেন্দ্র সামলেছেন। কিন্তু ২০১৯ সালে হঠাৎ মৌসুম নূর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বদলে যায় হাওয়া। তৃণমূলের মৌসম এবং কংগ্রেসের ঈশা খানের ভোট কাটাকাটিতে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে কংগ্রেস। পরবর্তীতে অতিক্রান্ত হয় পাঁচ বছর। বিধানসভায় উত্তর মালদার সবকটি আসনেই তৃতীয় স্থানে নেমে আসে হাত শিবির। পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে একমাত্র হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়ায়। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ছয়টি পঞ্চায়েত, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি এবং একটি জেলা পরিষদ আসন যায় কংগ্রেসের দখলে। যে লড়াইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন মোস্তাক। তারপরেই এবার লোকসভা উদ্ধারের দায়িত্ব। কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, একদিকে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী শাসন অন্যদিকে রাজ্যের দুর্নীতি। এই দুই ইস্যুকেই প্রচারের হাতিয়ার করবে কংগ্রেস। সঙ্গে সামনে থাকবে গনি খান, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সিদের কাজ।
মোস্তাক আলম বলেন, ‘সময় খুব কঠিন। লড়াইও কঠিন। গত লোকসভায় মৌসম হঠাৎ দল ছেড়ে দেওয়ার ফলে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। দেশজুড়ে বিজেপি যেভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। সংবিধান পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছেন রাহুল গান্ধি। আমি ওনার প্রতিনিধি হিসেবে উত্তর মালদার মানুষের কাছে যাব। প্রচার আজ থেকেই শুরু।‘