উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দাড়িভিট কাণ্ডে (Daribhit case) আদালত অবমাননা মামলায় আরও কড়া অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাজিরা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে উচ্চ আদালত।
বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, নির্দেশ পাওয়ার পরও রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার কারণ জানতে চান বিচারপতি। সে কারণেই তাঁদের সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ না মানলে আদালত কড়া পদক্ষেপ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, অশান্তি থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে প্রাণ হারায় দুই প্রাক্তন ছাত্র – রাজেশ সরকার, তাপস বর্মন। তা নিয়ে সেসময় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় তদন্তভার হাতে নেয় সিাইডি। তবে সিআইডি তদন্ত সঠিক পথে এগোয়নি বলে আগেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
দাড়িভিট কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত মাসে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দাড়িভিট কাণ্ডে গত ১০ মাসেও এনআইএ তদন্ত শুরু না হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিআইজি-সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চায় রাজ্য সরকার। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয় রাজ্যের তরফে। ডিভিশন বেঞ্চেও এনআইএ তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখা হয়।