চাঁচল: আজ থেকে ৫০০ বছর আগে চৈত্র মাসের শেষ দিনে শুরু হয়েছিল পুজোর রেওয়াজ। স্থানীয় তপশিলি সম্প্রদায়ের বিশেষ গোষ্ঠীর লোকেরা মূলত যুক্ত এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। আজও সম্পূর্ণ রীতি এবং রেওয়াজ মেনে চাঁচলের কলিগ্রামে পূজিত হয়ে আসছেন মা বটতলবাসিনী এবং গম্ভীরা। বাংলা বছরের শেষ দিনে এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামের আবেগ এবং ঐতিহ্য। পুজোকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়েছে পুজো। মূলত ভারতী ভবন পাঠাগার সংলগ্ন পাড়ার যে কয়েকটি পরিবার এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত তাদের বাড়ি থেকে শুরু হয় পুজো। রাত ১১টা নাগাদ সেখান থেকে শুরু হয় মা বটতলবাসিনীর দৌড়। পুজোর সঙ্গে যুক্ত পরিবারের সদস্যদের একজন বটতলবাসিনীর মুখোশ হাতে নিয়ে দৌড় শুরু করে। পেছনে থাকে এলাকার মানুষেরা। পার্শ্ববর্তী বটতলা গ্রামের একটি আম বাগানে গিয়ে শেষ হয় দৌড়। যেখানে রয়েছে মা বটতলবাসিনীর থান। রাত ১২টা নাগাদ শুরু হয় পুজো। মধ্য রাতেও পুজো দেখতে ভিড় জমিয়েছিল প্রায় হাজার হাজার ভক্ত। রাত ৩টা নাগাদ পুজো শেষ হওয়ার পর সকলে চলে আসে কলিগ্রামের গম্ভীরা বাগানে।
শনিবার ভোর থেকে পুজো শুরু হয় মা গম্ভীরার থানে। সেখানে পুজো শেষ হওয়ার পর দুপুরে প্রথা মেনে বের হয় স্থানীয় ভাষায় প্রচলিত ‘জিহ্বা ফুরা’। পরবর্তীতে বিকেলে গম্ভীরা বাগানে শুরু হয় মেলা। যে মেলা এখনও কার্যত গ্রাম্য মেলা। যেখানে আধুনিকতার ছোঁয়া আসেনি। প্রায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে মেলা। শেষে মা বটতলবাসিনী এবং মা গম্ভীরার মুখোশ নির্দিষ্ট মন্দিরের থানে রেখে পুজোর সমাপ্তি হয়। পুজোর উদ্যোক্তা বুবাই দাস বলেন, ‘দুইদিন আমরা নির্জলা উপোস করে থাকি। এই পুজোর অনেক নিয়ম রয়েছে। আজ পুজো শেষে মাছ খেয়ে সমস্ত নিয়মের সমাপ্তি হয়।‘