রায়গঞ্জঃ ‘কংগ্রেস-সিপিএম নিয়ে কিছু বলব না। বিজেপির সাংসদ এখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। ওদের এমন অবস্থা, প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) খড়্গপুর থেকে দুর্গাপুরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর একটা কারণ থাকতে পারে। তিনি যে গোরুর দুধ থেকে সোনা বের করেছিলেন সেটা হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে। আর ওখান থেকে হবে না, তাই দুর্গাপুরের গোরুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’ রবিবার রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) সমর্থনে রোড শোতে অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এই মন্তব্য করে একইসঙ্গে নতুন বিতর্কেরও জন্ম দিলেন তিনি।
এদিন রায়গঞ্জের সুপার মার্কেট থেকে রাধাকৃষ্ণের মন্দির পর্যন্ত রোড শোয়ে পা মেলান বাবুল। তিনি বলেন, ‘আমাকে যখন আসানসোল থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর চেষ্টা চলছিল তখন আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম, আমি ওখানে যা কাজ করেছি তাতে ১০০ শতাংশ জিতব। যদি হেরেও যাই আসানসোল থেকে পালাব না।’ বালুরঘাটের বিদায়ি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও এদিন একহাত নেন তিনি। বাবুল দাবি করেন, ‘রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। বাম ও কংগ্রেসকে ধর্তব্যের মধ্যে আনছি না।’
যদিও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বালুরঘাটের পর্যবেক্ষক শংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় হচ্ছেন দলবদলু। এই দল থেকে ওই দলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূলের থার্ড গ্রেডের মন্ত্রী। তাঁর মুখে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের কথা শোভা পায় না। আমাদের দুই সাংসদ কী উন্নয়ন করেছেন তা ওই দুই কেন্দ্রের মানুষ বলবে।’
তবে এদিন বাবুলের বক্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘দিলীপ ঘোষকে দুর্গাপুরের গোরুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ অনেকেই বলছেন, একথা বলে দুর্গাপুরের ভোটারদের গোরুর সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। ভোট বাক্সেও এর প্রভাব পড়তে পারে।