উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত একাধিক পাকিস্তানের নাগরিক। পকিস্তান থেকে এসে যাবতীয় শংসাপত্র জাল করে সহজেই ঢুকে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। নাগরিকত্ব এড়িয়ে তাঁদের নিয়োগও হচ্ছে। ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন কর্মরত পাকিস্তানের নাগরিক বলে অভিযোগ। সেনায় নিয়োগে দুর্নীতি চক্রের অভিযোগ তুলে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। এ বিষয়ে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
গত ৬ জুন কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেছেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। অভিযোগ, ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন কর্মরত পাকিস্তানের নাগরিক। তাঁদের নাম জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ হয়েছে সেনায়। এই সরকারি পরীক্ষায় বসতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় শংসাপত্র জাল করেছে বলে অভিযোগ। এর নেপথ্যে বড়সড় চক্র রয়েছে বলে দাবি মামলাকারীর।
মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র জয়কান্ত -প্রদ্যুম্নই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমেই আরও বহু পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় সেনার বিভিন্ন পদে চাকরি পাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ব্যারাকপুরে কর্মরত উক্ত দু’জন। এই নিয়োগের নেপথ্যে সক্রিয় বড়সড় চক্র। এর সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, এমনকি পুলিশেরও যোগ থাকতে পারে। এসএসসি জিডি-র পরীক্ষায় বসতে গেলে বাসস্থানের প্রমাণ, জাতির শংসাপত্র, ক্যারেকটার সার্টিফিকেটের মতো একাধিক নথি প্রয়োজন হয়। ওই নথি জাল করে বাইরের লোককে পরীক্ষায় বসার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার এই মামলাটি ওঠে কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, দেশের নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আইএসআইয়ের চক্রান্তে ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানের নাগরিকদের ঢোকানো অসম্ভব নয়। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার, এবং সিবিআইকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্ত করা হবে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-কেও। বিচারপতি মান্থা আপাতত এই মামলা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন সিআইডির ওপরে। ২৬ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।