হেমতাবাদ: দিনের বেলায় নদী থেকে অবাধে বালি পাচার(Sand Smuggling) হয়ে যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ ভিন রাজ্যে। হেমতাবাদের বাগরোল ঘাটের কুলিক নদীর বুকে ট্রাক্টরে বালি বোঝাই করে পাচার হচ্ছে হেমতাবাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। প্রতিদিনই এই ঘটনা ঘটলেও সরকারি তরফে কোনও নজরদারির ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, জল সেচ ও জল সম্পদ দপ্তরের নজরদারির অভাবেই এই পাচারের ঘটনা ঘটছে। যার ফলে বছর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। কুলিক নাগর মহানন্দা ছাড়াও ডক, বেরন, টাঙ্গন নদীতে(River) এই চুরির ঘটনা নিত্যদিনের।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, প্রশাসন তৎপরতা বাড়ালে এই পাচার বন্ধ করা যেত। রাজ্য সরকার ও মোটা টাকার রাজস্ব আদায় করতে পারতো। হাতিয়া হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষক তথা পরিবেশবিদ জগন্নাথ সাহা বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বালি পাচারকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।‘ সেচ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘অনেক অভিযোগ এসেছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। নদী নজরদারির জন্য যে পরিমাণ কর্মী থাকা প্রয়োজন সেই পরিমাণ না থাকায় যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। তবে জানতে পেরেছি, যে পরিমাণ নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে সেই পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। ফলে প্রতি মাসে মোটা টাকা রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে রাজ্য সরকারের।‘ রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আগেও বৈঠক করা হয়েছে। নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেও কারবার চলছে। এই অভিযোগ আসার পর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ডিএলআরও-কে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশকে ও কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।‘ জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল বলেন, ‘উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক নদী থেকে বালি পাচার হচ্ছে। হেমতাবাদ তার ব্যতিক্রম নয়। জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।‘
অন্যদিকে, বিহারে বালি পাচার করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করল ইটাহার থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সাদ্দাম হোসেন(৩২), মোবারক শেখ(২০)। দুজনের বাড়ি ইটাহার থানা গুলন্দর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাড়াহরিপুর গ্রামে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।