উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ যোগ্যপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে কম নম্বরের প্রার্থীকে কোন স্বার্থে চাকরি দেওয়া হল? এই বিষয়ে এসএসসিকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। এদিনই এসএসসিকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরবর্তী শুনানি হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তার আগে এসএসসিকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
কলকাতা আদালত সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা তারিফ আলি ২০১২ সালে ভূগোল বিষয়ে আরএলএসটি পরীক্ষায় বসেছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরীর অভিযোগ, মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি তারিফকে। পরে তথ্যের অধিকার আইনে এসএসসি জানায়, পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫২। এমনকী নির্ধারিত নম্বরের চেয়ে তাঁকে ২ নম্বর কম দেওয়া হয়।
আশিসবাবু আদালতে বলেন, এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যাঁরা স্নাতকস্তরে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবেন, তাঁরা স্নাতকের ১৪ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর পাবেন। অথচ তারিফ স্নাতকস্তরে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলেও তাঁকে ১২ নম্বরের পরিবর্তে ১০ দেওয়া হয়েছে। এসএসসির তরফে সঠিক নম্বর দিলে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়াতো ৫৪। মামলাকারী এসএসসির কাছে সমস্ত নথি সমেত লিখিত অভিযোগে জানান, একই মেধা তালিকায় ৫২.৩৩ নম্বর পেয়েও নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরি করছেন। অথচ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৪ হওয়া সত্বেও তাঁকে নিয়োগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এদিন এসএসসিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতির বিশ্বজিত বসু। এদিন আদালতে তিনি বলেন, “এটা এসএসসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। কারণ অ্যাকাডেমিকসে নম্বর কীভাবে কমে যায় এবং যোগ্যপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে কম নম্বরের প্রার্থীকে কীভাবে চাকরি দেওয়া হল?”