চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: বর্তমানে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের (Railway) পাঁচটি ডিভিশনে গড়ে ১০০ থেকে ১১০ কিমি সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলছে। এবার তা আরও বাড়িয়ে ১৩০ কিলেমিটার গতিবেগে চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল। এর জন্য ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে (Alipurduar Division) কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম ধাপে নিউ আলিপুরদুয়ার (New Alipurduar Railway Station) থেকে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন (Jalpaiguri Road Station) পর্যন্ত ১১১ কিলোমিটার রেলপথকে কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। তবে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডুয়ার্স সেকশন এবং নিউ কোচবিহার-মাথাভাঙ্গা সেকশনে কাজ পরে হবে।
চলতি ২০২৪-’২৫ আর্থিক বর্ষের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজার অঙ্কিত গুপ্তা। তাঁর কথায়, ‘কাজ সবে শুরু হয়েছে। রেললাইনে ব্লক নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই সময় লাগবে। ট্র্যাক পরিবর্তন হলে দ্রুত ট্রেন চলবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়বে। প্রতিদিন অন্তত দু’ঘণ্টা করে কাজ হচ্ছে।’
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে কয়েকটি এলাকায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগেও ট্রেন চলে। দেশের এই অংশে ধাপে ধাপে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। তারই প্রথম পর্যায়ে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে এনএফ রেলের কাটিহার ডিভিশনে কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর আলিপুরদুয়ার ডিভিশনেও ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে নিউ কোচবিহার হয়ে যে রেলপথ নিউ জলপাইগুড়ি গিয়েছে।
রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্র্যাক পরিবর্তন হলে ট্রেনের গতি বাড়বে। সেক্ষেত্রে দ্রুত ট্রেন চললে যাত্রীদের সুবিধা হবে। রেলের পরিকাঠামোও উন্নত হবে। সময়মতো ট্রেন চালানো যাবে।
এদিকে, ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালাতে হলে রেললাইনের নীচের মাটির অংশ মজবুত করতে হবে। পাশাপাশি সমস্ত রেলসেতুরও পরিকাঠামো উন্নয়ন করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যাবতীয় সিস্টেমে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবই ওই কাজের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এর জন্য কেন্দ্র থেকে অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে।