উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়। মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিতর্কিত এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে আপাতত কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর যা হয়েছে তার উপর কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। আজ এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
সন্দেশখালি কাণ্ডে শাহজাহান সহ একাধিক তাবড়তাবড় তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তারের পরই যথেষ্টই বিপাকে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। অস্ত্র উদ্ধার, জমি কেড়ে নেওয়া সহ মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের স্টিং অপারেশনের পর পর দুটি ভিডিও ভাইরাল হতেই হাওয়া ঘুরে যায় সন্দেশখালিতে। যথেষ্টই বিপাকে পড়ে যায় বিজেপি। প্রথম ভিডিওতে গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে। আর দ্বিতীয় ভিডিওতে শোনা যায়, ৭২ জন মহিলাকে দু’হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যে মামলা করানো হয়েছে। যদিও এই দুটি ভিডিয়ো যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। এই ভিডিয়ো দুটি ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে যায় গঙ্গাধর কয়াল। আর তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা শক্তিপদ রাউত। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এই এফআইআরের উপর রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন গঙ্গাধর কয়াল। আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।
গঙ্গাধরের মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আর তাতে থানায় এফআইআর রুজু কিসের ভিত্তিতে করা হল? ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে এই এফআইআর করার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত ছিল।’ তারপরই এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।