উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের বাংলায় ঝরল রক্ত। শনিবার ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মহিষাদলে ওই তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, এই লোকসভা কেন্দ্রের ময়নায় আরও এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মহিষাদলের নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মইবুল (৪২)। মহিষাদলের ধামাইতনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মইবুল। সে সময় রজনীগঞ্জ বাজার এলাকায় তাঁর সঙ্গে কয়েকজনের বচসা বাধে। কথা কাটাকাটি চলাকালীনই মইবুলের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা।
জানা গিয়েছে, মইবুল বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য ছিলেন। শাসকদলের দাবি, ভোটের মুখে তৃণমূলকে সন্ত্রস্ত করতেই মইবুলকে খুন করা হল। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। এই মুহূর্তে এলাকায় তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। নিজেদের মধ্যেই ক্ষমতার দখল নিয়ে ক্রমাগত লড়াই চলতে থাকে। সেই ঝামেলা থেকেই মইবুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
অন্যদিকে, ময়নার ইজমালিচক এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই ব্যক্তিকে তাম্রলিপ্ত জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি নির্বাচন চলাকালীন ঝাড়গ্রামে উদ্ধার হল ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। রাস্তার ধারে এক মাঠের মধ্যে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান ওই যুবক খুন হয়েছেন।
এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলার আট কেন্দ্রে ১৬.৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত কমিশনে মোট ৩৬৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে সিপিএমের তরফ থেকে। তারা ৩৮টি অভিযোগ করেছে। বিজেপি করেছে ৩০টি অভিযোগ।