উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) এবার থেকে জঙ্গি পরিবারের কোনও সদস্য সরকারি চাকরি পাবেন না। একইসঙ্গে কেউ যদি পাথর ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত থাকেন, তাঁর উপরও একই নিয়ম লাগু হবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা (Amit Shah)। তাঁর কথায়, উপত্যকায় শুধুমাত্র জঙ্গিদের শেষ করাই নয়, সেখানকার সন্ত্রাসের পরিবেশ বদলে ফেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শা বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাশ্মীরে যদি কেউ কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন। শুধু তাই নয়, কোনও ব্যক্তি যদি পাথর ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত হন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরি (Government Job) পাবেন না। কিছু মানবাধিকার সংগঠন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারই জয়ী হয়েছে।’ একইসঙ্গে শা এও জানিয়েছেন, যদি কেউ আগে সরকারি চাকরি পেয়ে থাকেন এবং তারপর তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন, সেক্ষেত্রে ওই আধিকারিককে ছাড় দেওয়া হবে।’
শা আরও বলেন, ‘আগে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও জঙ্গির মৃত্যু হলে বিশাল জৌলুসের সঙ্গে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হত। কিন্তু আমরা আসার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমস্ত ধর্মীয় নিয়ম মেনে ওই জঙ্গির দেহ সৎকার হবে ঠিকই, তবে তা অন্য কোনও জায়গায়।’ একইসঙ্গে সরকার যে জঙ্গিদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে আগ্রহী সেই বার্তাও দেন শা। বলেন, ‘যখন কোনও জঙ্গিকে নিরাপত্তাবাহিনী ঘিরে ফেলে, তখন তাকে প্রথমে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। তার মা, স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছের সদস্যকে সেখানে আনি। তাঁদের মাধ্যমে ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের আবেদন করা হয়। যদি সে আত্মসমর্পণে রাজি না হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়।’ এমনকি, এনআইএ-র কড়া পদক্ষেপের জেরে উপত্যকায় টেরর ফান্ডিং পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন শা। বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া নীতির জেরে উপত্যকায় সন্ত্রাসের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমেছে।’