রাহুল দেব, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ (Raiganj) পলিটেকনিকের স্ট্রং রুমের (EVM Strong Room) সিসিটিভি রবিবার কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, রবিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে ৬টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্ট্রং রুমের সিসি (CCTV) ক্যামেরা বন্ধ করে রাখা হয়। সেদিন সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট থেকে ৭টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত স্ট্রং রুমের সামনের বারান্দার সিসি ক্যামেরাও বন্ধ রাখা হয় বলে বিজেপির তরফে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
সোমবার বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘এক জায়গায় পাঁচ মিনিট ও আরেক জায়গায় আধ ঘণ্টার জন্য সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। কী উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে জানি না। বিগত দিনের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে ফলাফল যাওয়ার জন্য এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। পাঁচ মিনিটে একটা দেশ ধ্বংস করে দেওয়া যায়। সেখানে ইভিএম ট্যাম্পারিং করা কোনও ব্যাপারই নয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহ অভিযোগ জানানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কখনও রিভার্স ইভিএমের আশঙ্কা প্রকাশ করে, আবার কখনও গণনাকেন্দ্রের বিষয়ে। অভিযোগের তালিকায় নবতম সংযোজন হল স্ট্রং রুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকা।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলছেন, ‘যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ঘোরতর অন্যায়। শুনেছি প্রশাসনের তরফে নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এবার রায়গঞ্জ আসন তৃণমূলকেই দেওয়া হবে। তাই তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর জন্য এমনটা করা হয়ে থাকতে পারে। রায়গঞ্জ আসনে লড়াই হওয়ার কথা বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের। এখানে তৃণমূল প্রার্থীর তিন নম্বরে থাকার কথা।’
এনিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বক্তব্য, ‘ওরা দুই দলই বুঝতে পেরেছে, তাদের প্রার্থীরা লক্ষ লক্ষ ভোটে পিছিয়ে থাকবেন। তাই এখন এধরনের অবান্তর অভিযোগ তোলা হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী তো লোডশেডিং করে জিতেছিলেন। বিজেপি কি তাহলে এখন সেই ঘটনাই প্রমাণ করতে চাইছে?’
তবে বিজেপির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।