সানি সরকার, শিলিগুড়ি: বিকেল হওয়ার আগেই দুপুরের চড়া রোদ উধাও। কালিম্পংয়ের আকাশে ঘনঘটা। সন্ধে নামতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Rain in Bengal)। একই ছবি সিকিমের রংপো থেকে দার্জিলিংয়ের আকাশেও। সঙ্গে বজ্রপাত। এরই মধ্যে পূর্ব অসম এবং সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। যথারীতি আবহাওয়া দপ্তরও নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করেছে।
পাঁচদিন কোচবিহারের (Coochbehar) পাশাপাশি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) এবং আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) পূর্বাভাস রয়েছে ওই বার্তায়। নিম্নচাপের প্রভাবে বিক্ষিপ্তভাবে হলেও দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলছেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের সর্বত্রই কমবেশি বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া থাকবে।’ আবহাওয়া দপ্তরের তরফেও স্পেশাল বুলেটিনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে পূর্ব অসমে পৌঁছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিম্নচাপে পরিণত হবে রেমাল। ফলে নিম্নচাপের জেরে গৌড়বঙ্গের বাইরে উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বেশি বৃষ্টিপাত হবে বলে ওই বুলেটিনে বলা হয়েছে।
এই তিন জেলায় দু’একটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী অর্থাৎ ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাত এবং ঝোড়া হাওয়ার সতর্কতা রয়েছে। এই বৃষ্টির জেরে কিছুটা ঘাটতি মিটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় নদীগুলির ওপর নজরদারি রাখছে সেচ দপ্তর। সাধারণত বর্ষার কথা মাথায় রেখে জুন মাসের প্রথম দিন থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। রেমালের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই নদীগুলিতে নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে তিস্তায়।