দার্জিলিং: অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে উৎসাহী পর্যটকদের জন্যে শৈলশহরে একদিনের ট্রেকিং রুট (Trekking Route) চালু করল জিটিএ (GTA)। এই ট্রেকিং রুটটি প্রায় ১০ কিমি দীর্ঘ। এই রুটে মিলবে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক জায়গা। ম্যালের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে ট্রেকিং শেষ হবে এশিয়ার প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সিদরাপংয়ে। সেখান থেকে পর্যটকদের হোটেলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকরা অনেকেই ট্রেকিংয়ে উৎসাহী। কিন্তু সান্দাকফু ছাড়া সেভাবে কোনও ট্রেকিং রুট নেই। সান্দাকফুতেও এখন রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে সেই রুটের জনপ্রিয়তা কমেছে। মাঝেমধ্যে সিঞ্চল অভায়রণ্যে পর্যটকরা ট্রেকিংয়ে যান। কিন্তু সব ধরনের পর্যটকরা যাতে ট্রেকিংয়ের আনন্দ নিতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই জিটিএ’র এই উদ্যোগ।
২৯ মে জন্মদিনেই এডমন্ড হিলারীকে সঙ্গী করে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান তেনজিং নোরগে। এই দিনটির কথা স্মরণে রেখেই চালু করা হল এই নয়া ট্রেকিং রুট। কমবেশি ১০ কিমি দূরত্বের এই রুটে কোথাও পাকা রাস্তা, কোথাও চোরাবাটো আবার কোথাও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
জিটিএ’র অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগ জানিয়েছে, এই ট্রেকিংয়ে অংশ নেওয়ার জন্য মাথাপিছু ২০০০ টাকা দিতে হবে। সর্বনিম্ন তিনজন থেকে সর্বাধিক ১০ জনের গ্রুপ করে ট্রেকিং করা যাবে। বয়সের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। প্রত্যেক ট্রেকারের সঙ্গেই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের একজন গাইড থাকবেন। সিদরাপংয়ে ট্রেকিং শেষ হওয়ার পরে সেখান থেকে পর্যটকদের হোটেলে ফেরানোর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য আলাদা কোনও খরচ দিতে হবে না। রুটটি ম্যালের চৌরাস্তা থেকে ক্যাপিটাল হলের উপরের রাস্তা দিয়ে প্রথমে তিব্বতীয় মিউজিয়ামে যাবে। সেখান থেকে সার্কিট হাউসের রাস্তা ধরে কিছুটা এগিয়ে সেখানে তেনজিংয়ের বাড়ি। এরপর আভা আর্ট গ্যালারি। তারপর বর্ধমান মহারাজের বাড়ি। সেখান থেকে নীচের দিকে নেমে শিবখোলা ইকো ক্যাম্পে চা পানের ব্যবস্থা থাকবে।’ ১৫ মিনিটের বিরতির পর আবার হাঁটা শুরু। পরের গন্তব্য আর্য চা বাগান। সেখান থেকে হেঁটে সিদরাপং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১৮৯৭ সালে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই প্রথম আলো পেয়েছিল পাহাড়। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটিই পর্যটকদের দেখানো লক্ষ্য জিটিএ-র।