উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে বাংলায় তৃণমূলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। সংবাদমাধ্যমে এই সমীক্ষা দেখার পর দলীয় কর্মীদের মনোবলে আঘাত লাগার আশঙ্কা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার যে ভোট পরবর্তী সমীক্ষা প্রকাশ হয়েছে তাতে অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থার দাবি, বাংলায় তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষাতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, বিজেপি পেতে পারে ২৬ থেকে ৩১টি আসন। তৃণমূল সাকুল্যে পেতে পারে ১১ থেকে ১৪টি আসন। টুডেস চাণক্যর দাবি, বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে যেতে পারে কমপক্ষে ২৪টি আসন। চাণক্যর হিসেবে বাংলায় তৃণমূল পেতে পারে কমবেশি ১৭টি আসন।
যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রতি দফা ভোটের পর তৃণমূল অভ্যন্তরীণ ভোটফেরত সমীক্ষা করেছিল। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে বেশি আসন পাবে না। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষায় প্রতিটি সংস্থাই তৃণমূলের চেয়ে বিজেপিকে এগিয়ে রাখায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। এই প্রেক্ষিতে, কর্মীদের সমীক্ষা দেখে বিচলিত না হওয়ার জন্য বার্তা দিতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ৪ তারিখ গণনার আগে সমীক্ষা দেখে দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে গেলে গণনায় বিশেষ মনোযোগ দিতে পারবেন না।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেবারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৪৩.৭ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬ শতাংশ ভোট। ওই ভোটে বিজেপির শতকরা প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছিল। অন্যদিকে ১৬.৭২ শতাংশ ভোট কমেছিল বামেদের। বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৭.৫ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫.৭ শতাংশ।