উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে হয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচন। এই দুটি কেন্দ্রের একটি বরাহনগর অপরটি হল ভগবানগোলা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, একই সঙ্গে বিধানসভা-লোকসভার ভোট হলেও ভোটের হারের ফারাক নজরে এল দুই কেন্দ্রেই। কী ভাবে লোকসভায় ভোট বেশি পড়ল? বিধানসভা কেন্দ্রে কী ভাবে কমে গেল ভোটের হার? বাংলার দুই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
বরাহনগর বিধানসভা রয়েছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবং ভগবানগোলা বিধানসভা রয়েছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এই দু’টি বিধানসভাতেই এ বার উপনির্বাচন হয়েছে। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, বরাহনগর এবং ভগবানগোলা এই দুই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে ভোটের হার লোকসভায় ভোটের হারের চেয়ে কম। একই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হারে কী ভাবে এই তারতম্য হল, তা স্পষ্ট নয়।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বরাহনগরের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.১৮ শতাংশ। আবার, দমদম লোকসভার ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় ভোট পড়েছে ৭৩.২৩ শতাংশ। ভোটের তারতম্য ০.৫ শতাংশ। একই ভাবে, তৃতীয় দফায় ভগবানগোলার উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০.০৭ শতাংশ। আবার, মুর্শিদাবাদ লোকসভার ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় ভোট পড়েছে ৮০.২৬ শতাংশ। ভোটের তারতম্য ০.১৯ শতাংশ। লোকসভা কেন্দ্রের নিরিখে ০.৫ শতাংশ কিংবা ০.১৯ শতাংশ ভোট আদৌ কম নয়।
প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বুথে গিয়ে কোনও কোনও ভোটার লোকসভার ইভিএমে বোতাম টিপে ভোট দিলেও, ভুলবশত বিধানসভা উপনির্বাচনের ইভিএমের বোতামে চাপ দেননি। তার ফলে দু’টি ভোটের হারে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা কম। যে পদ্ধতিতে লোকসভা এবং বিধানসভার উপনির্বাচনে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাতে উভয় ক্ষেত্রেই ভোটের হার সমান হওয়ার কথা। কী ভাবে এই তারতম্য হল, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।