উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির শপথগ্রহণ নিশ্চিত। এনডিএ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নায়ডুর সমর্থনের দৌলতে কোনও ক্রমে ২৭২ আসনের ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পেরেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক আগেই থেমে গিয়েছে বিজেপির দৌড়। এহেন পরিস্থিতিতে ফের কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন মোদি। সদ্য এনডিএর নেতা নির্বাচিত হয়েই মোদির কটাক্ষ, ‘১০ বছরেও ১০০ আসন পেরোতে পারেনি কংগ্রেস।’ মোদি বলেন, ‘২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালে কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসন যোগ করলেও এই নির্বাচনে বিজেপির পাওয়া আসন সংখ্যাকে ছুঁতে পারবে না। আমি পরিষ্কার দেখতে পার্ছি ইন্ডি জোট (ব্যাঙ্গ করে এই নামেই ইন্ডিয়া জোটকে ডাকেন বিজেপি নেতারা) আগে একটু একটু করে ডুবছিল, এবার দ্রুতগতিতে ডুবতে চলেছে।’
এবারের নির্বাচনে ৩২৮ আসনে প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেস ৯৯ আসনে জয়লাভ করেছে। এটাই দলের গত ১৫ বছরের সবচেয়ে ভাল ফল। ২০১৪ সালে ৪৪ ও ২০১৯ সালে ৫২ আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। একমাত্র ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মনোমহন সিংয়ের নেতৃত্বে শেষবার ২০০র গন্ডি অতিক্রম করে ২০৬ আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।
আর কংগ্রেসের এই আসনসংখ্যাকেই হাতিয়ার করেছেন মোদি। যদিও কেন্দ্রে গত দশ বছর ধরে যে সরকার চলছিল, সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। তবে মোদির দাবি, ‘এবারের ভোটে ইভিএম যোগ্য জবাব দিয়েছে, এটা এনডিএ-র মহাবিজয়, অথচ ফল প্রকাশের পর আমাদের ফলকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা হল। যেন আমরা হেরে গিয়েছি। দেশবাসী জানে, আমরা না হেরেছি, না আমরা হারব। আগেও এনডিএ সরকার ছিল, এখনও আছে। আমরা হারলাম কোথা থেকে?” যদিও বিজেপিও গত ১৫ বছরে সবচেয়ে কম আসনে জয়লাভ করেছে এবার। তাদের আসন সংখ্যা ২৪০।
এদিন সরকার চালানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দেন সর্বসম্মতির উপর। তাঁর কথায়, সর্বসম্মতিতে চলবে দেশ। তিন দশক ধরে এনডিএ রয়েছে। এটা সামান্য ঘটনা নয়। আগামী দিনেও সর্বসম্মতি নিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যদিও জোট ধর্ম বজায় রাখতেই মোদির মুখে সর্বসন্মতির কথা উঠে এসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে স্পষ্ট বহুমত থাকার সময় মোদিকে খুব একটা এনডিএ জোটের প্রসঙ্গ তুলতে দেখা যায়নি। তবে এবার সরকার গড়তে নায়ডু ও নীতীশের উপর নির্ভরশীলতাই মোদিকে জোটধর্মের পথে ফিরিয়ে এনেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোদির কথায় তাঁর কাছে সব দলই সমান। সেটাই এনডিএর স্পিরিট। তাই গত ৩০ বছর ধরে জোট হিসেবে টিকে রয়েছে এনডিএ।