শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: জলপাইগুড়ি জেলায় এবছর এখনও পর্যন্ত স্ক্রাব টাইফাসে(Scrub Typhus) আক্রান্তের সংখ্যা ৮০। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন বা হয়েছেন, তাঁরা সুস্থ আছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনাতেই প্রত্যেকের চিকিৎসা করানো হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার বলেন, ‘স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। জ্বরের মতো আরও কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ থাকলে গোড়াতেই টেস্টিং-এর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকা সাফাইয়ের ওপর বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে।’
জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) বিভিন্ন ব্লক বা পুর এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, বিষয়টি এমন নয় যে কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকেই রোগীর সন্ধান মিলেছে। যে সমস্ত এলাকায় আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, প্রতিটি এলাকাতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা সংশ্লিষ্ট রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যান। চারপাশ সরেজমিনে পরিদর্শন করে আসেন তাঁরা। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে কোথাও ইঁদুরের ডেরা আছে কি না, তা চিহ্নিত করার ওপর। ইঁদুরের শরীরে ডেরা বেঁধে থাকা এক ধরনের কীটের কামড়ে রোগটি হয়। পাশাপাশি বাড়ির আশপাশ জঙ্গলে ছেয়ে গেলে সেখানেও ওই কীট থাকতে পারে। ঘরের দেওয়ালে ফাঁকফোকর থাকলেও স্ক্রাবের কীটের হদিস মিলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ কল্যাণ খান বলেন, ‘স্ক্রাব টাইফাসের কীট কামড়ালে শরীরে ক্ষতচিহ্ন তৈরি হতে পারে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওই ক্ষত দেখেই বিষয়টি বোঝা যায়। ডক্সিসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করা হয়। কারও কোনও সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে চলে আসতে হবে। চিকিৎসায় দেরি করা চলবে না।’