নাগরাকাটা: গরমের ছুটির শেষে সোমবারই ছিল পড়ুয়াদের স্কুলে হাজির হওয়ার প্রথম দিন। তার ঠিক আগে রবিবার গভীর রাতে একসঙ্গে ৯টি হাতির পাল হামলা (Elephant Attack) চালাল নাগরাকাটার (Nagrakata) বামনডাঙ্গা চা বাগানের (Bamandanga Tea Estate) টন্ডু টিজি থ্রি প্রাথমিক স্কুলে। হাতির হানায় স্কুল ভবনটির ভগ্নপ্রায় অবস্থা। পরিস্থিতি এমনই যে এদিন আর ক্ষুদেদের শ্রেণিকক্ষে বসাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। মাঠেই কোনওরকমে পড়াশোনা চলে। হাতির পালটি ফেরার সময় ওই বাগানের কাঁচা পাতা ওজন করার একটি ঘরও গুঁড়িয়ে দেয়। স্কুলের টিআইসি সুভাষ সার্কি বলেন, ‘ছুটির মধ্যেই সরকারি উদ্যোগে স্কুলভবনটি সংস্কার করা হয়েছিল। এরপরই এমন হামলা। কীভাবে পড়াশোনা চলবে, তা বুঝে উঠতে পারছি না। স্কুল চত্বরে আলোর কোনও ব্যবস্থা নেই। নিদেন পক্ষে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’ লক্ষ্মীনারায়ণ শা নামে এক সহ শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলের চারপাশে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে না দেওয়া হলে সমস্যা মেটার নয়। এর আগেও একাধিকবার হাতির হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এবারে সবচেয়ে মারাত্মক।’ বন দপ্তরের খুনিয়ার রেঞ্জার সজল দে বলেন, ‘হাতির পালের গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রেখে চলা হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাশের গরুমারার জঙ্গল (Gorumara Jungle) থেকে হাতির পালটি স্কুলের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তিনটি ছোট হাতি স্কুলের বারান্দায় উঠে একে একে সবকটি শ্রেণিকক্ষের দরজা ভেঙে দেয়। এমনকি সেগুলি প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে ঢোকে। এরপর জানালাগুলিও উপড়ে ফেলে। বাদ যায়নি অফিস ঘরও। সেখানেও একই কায়দায় একটি হাতি ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুলে আবার একটি জুনিয়ার হাইস্কুলের ক্লাসও চলে। ফলে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদেরও পঠনপাঠন এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।