শামুকতলা: বেসরকারি হোমগুলির বিরুদ্ধে পরিকাঠামোগত এবং খাবার সরবরাহ নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। তাই এবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার বেসরকারি হোমগুলিতে পরিকাঠামো, খাবারের মানে যাতে কোনওভাবেই ঘাটতি না থাকে সেটা দেখতে বিশেষ নজরদারি শুরু হল।
জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি, আলিপুরদুয়ার জেলা ও আইনি পরিষেবা আদালতের বিচারকের পাশাপাশি প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা ইতিমধ্যেই এই নজরদারি শুরু করেছেন। কোনওদিকে ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করার ব্যাপারেও তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন। ইতিমধ্যেই জেলার হোমগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেশ কিছু সমস্যা এবং অভিযোগ খুঁজে পেয়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। এভাবেই ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি হোমের আবাসিকদের খাবার সহ সমস্ত ক্ষেত্রে নজরদারি চালানো হবে বলে সিডব্লিউসি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় কোনও সরকারি হোম না থাকলেও জেলায় তিনটি বেসরকারি হোম রয়েছে। সম্প্রতি পরিদর্শনে গিয়ে জেলার ওই হোমের আবাসিকদের কাছ থেকে খাবার, শৌচালয়, পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ পান সিডব্লিউসি আধিকারিকরা। তবে দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যাগুলি সমাধান হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যরা জানান, কোনওভাবেই হোমের পরিকাঠামো এবং খাওয়াদাওয়ার ঘাটতি বরদাস্ত করা হবে না। হোমগুলিতে নজরদারি আরও বাড়িয়ে তোলা হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান অসীম বসু বলেন, ‘আমরা প্রতিটি হোমের খাবার সহ সমস্ত বিষয়ে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছি। কিছু সমস্যা মিলেছে। সেই সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধানও করা হচ্ছে। সমাজ কল্যাণ দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী হোমের আবাসিকদের যাতে কোনওভাবেই অসুবিধার মুখে না পড়তে হয় সেটা আমরা দেখছি। হোমগুলির পরিকাঠামোগত এবং অন্য সমস্যাগুলি দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করার কাজ শুরু হয়েছে।’
আলিপুরদুয়ারের তপোবন হোমের পরিচালক সংস্থার সম্পাদক নরেন সূত্রধরের কথায়, ‘আমাদের হোমের পরিকাঠামো সহ অন্য কোনওদিকেই এখন সমস্যা নেই। হোমের আবাসিকদের খুব ভালো মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। দু’দিন মাংস, তিনদিন ডিম এবং দু’দিন করে মাছ দেওয়া হয়। এছাড়া শাকসবজি এবং ফল তো রয়েছেই। সরকারি নির্দেশিকা মেনে আমরা হোম পরিচালনা করছি। সরকারি আধিকারিকরাও নিয়মিত আমাদের হোম পরিদর্শন করছেন।’
