চালসা: হাতির সঙ্গে আর লড়াই করে নয়, এবার হাতিকে বোকা বানিয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি রক্ষা করার ভাবনা নিল মেটেলি ব্লকের উত্তর ধুপঝোরা মাকরাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় হাতির হামলার মত খবর সামনে উঠে আসছে। ঘর বাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও বাড়ছে প্রতিদিন। কীভাবে নিজেদের ফসল থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি বাঁচাবেন গ্রামবাসীরা এই কারণে সকলেই এক প্রকার দিশেহারা। ব্লেড তার কিংবা বৈদ্যুতিক তার এই সবকিছু হাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই কারণে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার মানুষজন কখনই চান না তাদের ফলে বন্য জন্তুর কোনও ক্ষতি হোক। এবার হাতি তাড়ানোর অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন মাকরাপাড়া এলাকার মানুষ। মোটা ধাতব তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বাড়ির চারপাশ। তারে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নীল রঙের পলিথিন। যখনই তার হাতির সংস্পর্শে আসছে সেই সময় পলিথিনের আওয়াজে কিছুটা হলেও ভয় পাচ্ছে হাতি। এমনকি যখনই ধাতব তার হাতির নজরে আসছে তারা সেই তারটিকে বৈদ্যুতিক তার মনে করে সামনে ঘেঁসছে না। যার ফলে রক্ষা পাচ্ছে বাড়িঘর। অন্যদিকে বন্যপ্রাণেরও কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। উত্তর ধুপঝোরা মাকড়াপাড়া এলাকাটি চাপড়ামারী জঙ্গল সংলগ্ন হাওয়ায় মাঝেমধ্যেই হাতি মূর্তি নদী পেরিয়ে চলে আসছে ওই এলাকায়। কিছুদিন আগেও ওই এলাকায় হাতির হানায় বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই এলাকায় কি করে হাতির হানা রোখা যায় তা নিয়ে চিন্তায় ছিল এলাকার জনগণ। অবশেষে এই পন্থা অবলম্বনে এখন আর হাতি বাড়িতে আক্রমণ করছে না বলে বাসিন্দারা জানান।
এলাকার বাসিন্দা জীবন খেড়িয়া, বিশ্বজিৎ খেরিয়া রা বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই রাতে এলাকায় হাতির আসছে। এর আগেও হাতির হানায় বহু ঘর বাড়ি ভেঙেছে। কোনভাবেই এলাকায় হাতির হানা কম ছিল না। অবশেষে এভাবে তারের মধ্যে প্লাস্টিক ঝুলিয়ে রাখার ফলে এখন আর বাড়ির ভিতরে হাতি ঢুকে না। এলাকায় হাতি আসলেও ওই তারের সংস্পর্শে আসার পরই হাতি ফের ঘুরে যায়। এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই এইভাবে তারের মধ্যে প্লাস্টিক ঝুলিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে হাতিদেরও কোনও সমস্যা হয় না।‘