উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো (Hollong bungalow fire)। পুরো ছাই হয়ে গিয়েছে বাংলোটি। কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। দুর্ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাত? তা নিয়ে কানাঘুষো চলছে। এই পরিস্থিতিতে সত্য সন্ধানে তদন্ত কমিটি গড়লেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলেও যেতে পারে এই তদন্ত কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন মুখ্য বনপাল, ডিএফও, ওই বাংলো এলাকার ফরেস্ট রেঞ্জার সহ বেশ কয়েকজন।
এবিষয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘গোটা ঘটনায় অনেকেই হলং বাংলোর কর্মীদের উপর দায় চাপাচ্ছেন। কিন্তু আমি ওঁদের পাশে আছি। যাঁরা ওঁদের বিরুদ্ধে যাবে আমি তাঁদের বিপক্ষে যাব।’
ঐতিহ্যবাহী এই বাংলো পুড়ে যাওয়া নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। শোনা যাচ্ছে, যে সময় অগ্নিকাণ্ড হয় তখন লোডশেডিং ছিল। সেক্ষেত্রে তবে শর্টসার্কিট থেকে কীভাবে তা হতে পারে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। শীঘ্রই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাত সাড়ে নটা নাগাদ বাংলোটিতে আগুন ধরে যায়। পুরো বাংলোটি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। বাংলোটি শেষ পর্যন্ত পুরোটাই ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এসি মেশিন থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লাগে। তবে ১৫ জুন থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলোটিতে এই সময় কোনও পর্যটক ছিলেন না। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জে ভি জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৯৫৬ সালে মাদারিহাটে (Madarihat) জলদাপাড়া (Jaldapara) জঙ্গলের ভেতর বাংলোটি তৈরি হয়। বিভিন্ন বন্যজন্তু ও পাখিদের সান্নিধ্য ভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল এই বনবাংলো। জঙ্গলের নিস্তব্ধতায় কিছুটা সময় কাটাতে প্রায় ৬৮ বছর ধরে এই বাংলোটিতে অজস্র পর্যটক এসে থেকেছেন। সেই বাংলো পুড়ে যাওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।