উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গতকালই বারাণসী থেকে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তারপর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই কৃষক কল্যাণে ফের বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এদিন একধাক্কায় ১৪টি খরিফ (গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন) শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) উৎপাদন খরচের প্রায় দেড় গুন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ এই ২০২৪-২০২৫ মরশুমে এই বর্ধিত মূল্যেই কৃষকদের কাছ থেকে এই শস্য কিনবে সরকার।
আজ মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষ করে কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ২০১৮ সালের বাজেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন মূল্যের দেড়গুন করা হবে। সেইমতো এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি শস্যের ক্ষেত্রে বর্তমান দামের থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ বর্ধিত সহায়ক মূল্য ঠিক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আজকের এই সিদ্ধান্তে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের ঘরে ঢুকবে বলে জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব। গত মরশুমের অঙ্ক থেকে যা ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ডাল জাতীয় শস্য ও তৈলবীজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সব থেকে বেশি বাড়ানো হয়েছে বলে সরকারের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। ধানের ক্ষেত্রে কুইন্টালপিছু সহায়ক মূল্য ৫.৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যা মোটের উপর ১১৭ টাকা বৃদ্ধি বলে জানা গেছে। অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, ২০১৩-১৪ সালে ধানের সহায়ক মূল্য ১৩১০ টাকা ছিল যা এখন ২৩০০ টাকায় দাঁড়াল। এনডিএ সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। বছরের শেষেই হরিয়ানা মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে কৃষক মন জয় করতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে বলে মনে করছে বিজেপি শিবির।