মৌলানি: পরীক্ষামূলকভাবে পড়ে থাকা বিঘা খানের জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন মৌলানীর যুবক তনু দে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চাষে কিছুটা, সমস্যা হলেও, আগামী দিনে বাণিজ্যিকভাবে এই ফুলের চাষ করতে আগ্রহী তিনি। তথাকথিত সবজি চা চাষ থেকে দূরে সরে তনুর ব্যতিক্রমী এই ফুল চাষ এলাকায় নতুন দিশা দেখাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
পেশায় বিদ্যুতের কারিগর তনু দে মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের চক মৌলানি হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা। স্ত্রী শিউলি ছোট্ট মেয়ে ত্রিশিতা ছাড়াও বাবা অজিত দে ও মা দীপা দেবী কে নিয়ে ছোট্ট সংসার তনুর। নিজের বাড়ি থাকলেও তেমন জমি জায়গা নেই তনুদের। বাড়ির পাশেই নিজের দাদুর বিগা খানেক জমি রয়েছে। শখ করে কয়েক বছর সেই জমিতেই সবজি চাষ করেছিলেন তনু। নিজের বাড়ি ও আশপাশের সকলকে উৎপন্ন সবজি বিলিয়ও করেন তিনি কয়েকবার। এবার সেই জমিতেই পরীক্ষামূলক ভাবে গাঁদা ফুলের চাষাবাদ শুরু করেন তনু। ফাল্গুন মাস নাগাদ নদীয়া থেকে কুড়ি হাজার গাঁদা ফুলের চারা সার ও চাষের পরামর্শ নিয়ে জমি তৈরি করে ফুলের চাষ শুরু করেন। মাস খানেক হল বিঘা খানেক ওই জমিতে লাগানো, গাঁদা ফুলের গাছে ফুলো এসেছে। তনু জানান তার বাবা ও তিনি গাছের পরিচর্যা থেকে ফুল তোলার, কাজ করে যাচ্ছেন। বাড়িতে শ্রী মা ও তারা সকলে মিলে সুঁই সুতা দিয়ে ফুলের চেইন তৈরি করে তা বিক্রি করছেন ময়নাগুড়ির ফুল বাজারে।
তনু জানান, গাঁদা ফুলের চাহিদা বাজারে ভালোই রয়েছে। তবে চলতি বছর অত্যাধিক তাপমাত্রা ও বৃষ্টির অভাবে চাষাবাদে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে তাকে। প্রায় প্রতিদিনই চার থেকে পাঁচ ঘন্টা জল সেচের মাধ্যমে জল দেওয়ায় অতিরিক্ত খরচ দেখা দিচ্ছে চাষের ক্ষেত্রে। প্রত্যেক বছর এই সময়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয় এই সমস্ত এলাকায়। তবে চলতি বছর বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। তাঁর দাবি, প্রকৃতি সহায় দিলে ফুল চাষে ভালোই লাভ রয়েছে। এবং এর বাজারে চাহিদা ও খুব বেশি। আগামী দিনে তিনি আশাবাদী নিজের দাদুর জমির পাশাপাশি অন্যের জমি পেলে সেখানেও ব্যাপক হারে এই ফুলের চাষাবাদ করবেন।
