গৌরহরি দাস, কোচবিহার: কোচবিহারের (Cooch Behar) হেরিটেজ তালিকা থেকে ব্যাংচাতরা রোডের ধারে নিউ সিনেমা হল, ভবানী সিনেমা হল সংলগ্ন কেশব রোডের ধারে আনন্দ ভবন ও রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন ম্যাগাজিন রোডের ধারে মিলিটারি মসজিদকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হেরিটেজ কমিটি। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা রাজ্য হেরিটেজ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। বুধবার কোচবিহার জেলা শাসকের দপ্তরের কনফারেন্স হলে হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগারকে হেরিটেজের তালিকায় আনারও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সেটিও রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে পাঠানো হবে।
বুধবারের বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন, জেলা শাসক অরবিন্দকুমার মিনা, অতিরিক্ত জেলা শাসক শান্তনু বালা, সদর মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে কোচবিহার শহরে হেরিটেজের যে সমস্ত ভবন ও স্থাপত্যগুলি বেহাল অবস্থায় রয়েছে সেগুলির সংস্কার করা, শহরের বাইরে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের যে সমস্ত মন্দির রয়েছে সেগুলিকে হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব, শহরের জলাশয়গুলিকে সংস্কার করা সহ রাজবাড়ি, সাগরদিঘির পাড়ে জল জমা, রাজবাড়ির মিউজিয়ামের বেহাল অবস্থা, শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট সংস্কার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নিউ সিনেমা হল, আনন্দ ভবন, মিলিটারি মসজিদ হেরিটেজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে হেরিটেজ কমিটির প্যাট্রন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘এগুলি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি। এঁরা আবেদন করেছিল হেরিটেজের তালিকা থেকে তাদের বাদ দেবার জন্য। পরে হিয়ারিং হয়েছে, কাগজপত্র সব দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, নিউ সিনেমা হলটি ১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছে। মিলিটারি মসজিদটি ২০১৩ সালের কাগজপত্র। সবকিছু দেখেই কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে পাঠানো হবে।’
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে কয়েকবছর আগে কোচবিহারের ১৫৫টি স্থাপত্যকে কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির অনুমোদনে সিলমোহর দিয়েছিল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা থেকে একটি স্থাপত্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে।