উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন? শুক্রবার শুক্রবার রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সাম্প্রতিক একটি চিঠি ঘিরে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনকি আইটিসির টুইটার হ্যান্ডেলের কভার পেজে ২১ জুলাইয়ের ছবিও দেওয়া হয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও অভিষেকের ছবি নেই। স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের অন্দরেও কানাঘুষো শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আবার সেই নভেম্বর বিপ্লব ফিরে আসতে পারে!
সম্প্রতি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক গত ১২ জুন তাঁর এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার কারণে সংগঠন থেকে তিনি ‘সাময়িক বিরতি’ নিচ্ছেন। সেই সময় থেকেই বিবিধ জল্পনা চলছিল তৃণমূলের মধ্যে। তার মধ্যেই শুক্রবার রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সাম্প্রতিক একটি চিঠি ঘিরে নতুন জল্পনা উসকে দিয়েছে। দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আদৌ উপস্থিত থাকবেন তো অভিষেক?
দলের সমস্ত জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানকে পাঠানো সুব্রত বক্সীর চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্লকে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করতে এবং ওই দিন যাতে ধর্মতলায় ‘রেকর্ড জমায়েত’ হয়, তা সুনিশ্চিত করতে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই চিঠিতে অরূপ বিশ্বাস ও জয়প্রকাশ মজুমদারের নাম থাকলেও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নাম নেই। তা নিয়েই জল্পনা আরও জোরালো হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। গত ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে জেলাগুলিকে পাঠানো চিঠিতে অভিষেককে ‘সেনাপতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন সুব্রত বক্সী। সেই কারণেই নতুন জল্পনা তৈরি।
যদিও জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘‘এ সব জল্পনা অর্থহীন। এই কর্মসূচির পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা সবই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে থেকে করেছেন এবং করছেন।’’ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেক সশরীরে থাকবেন বলেও দাবি তাঁর।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সংসদের চলতি অধিবেশন সেরে অভিষেক কলকাতায় ফিরবেন। তার পর বিদেশে যাবেন চোখের চিকিৎসার কারণে। কিন্তু কবে ফিরবেন, তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া এখনও ২৫ দিন বাকি ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের। তবে অভিষেক ওই সভায় সশরীরে না-থাকলে আলোচনা এবং জল্পনা আরও বাড়বে।
গত বছর নভেম্বর মাসে অভিষেক দলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরি করেছিলেন। সেই সময়ও তৃণমূলে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। অভিষেক সেই সময় ঘোষণা করেছিলেন, নিজেকে শুধু নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ‘সীমাবদ্ধ’ রাখবেন। তবে দল চাইলে প্রচারে যাবেন। যদিও পরবর্তীতে অভিষেকের সঙ্গে দুলের দূরত্ব ঘুচে যাওয়ায় জেলায় জেলায় সভা করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।
