অমিতকুমার রায়, হলদিবাড়ি: মাঝখানে ব্যবধান কয়েকঘণ্টার। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফের ফিরলেন পুরোনো দলেই। কয়েকঘণ্টার মধ্যে দল বদলে শিরোনামে উঠে এলেন কোচবিহার জেলার (Coochbehar) দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি (Haldibari) গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়গোবিন্দ বর্মন।
শনিবার রাতে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক (Mekhliganj MLA) পরেশচন্দ্র অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন বিজেপির (BJP) ১৫৩ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য জয়গোবিন্দ। যোগদানের পর তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। রাত কাটতেই পুরোপুরি বদলে যায় ছবি। রবিবার সকালেই আবার বিজেপিতেই ফিরে যান জয়গোবিন্দ। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত? জবাবে তিনি জানান, ভয় দেখিয়ে জোর করে তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা।
বিজেপির টাউন মণ্ডল সভাপতি প্রদীপ সরকারের কথায়, ‘দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। তিনি চাপের মুখে পড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কিন্তু তাঁর মন থেকে বিজেপির প্রতি আস্থা, ভরসা ও ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারেনি।’
এদিকে, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের এই প্রত্যাবর্তনের জেরে বেকায়দায় পড়েছে ঘাসফুল শিবির। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের যোগদানের ফলে দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের স্বপ্নে বিভোর ছিল তৃণমূল শিবির। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ আসন বিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েতে ৬টি আসন তৃণমূল ও ৬টি আসন বিজেপি দখল করে। টসে জিতে বিজেপির দখলে যায় পঞ্চায়েতের বোর্ড। ওই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তৃণমূল। এছাড়াও তৃণমূল যুব নেতা খতিবর রহমান দাবি করেন, আরও তিনজন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্য জয়গোবিন্দর এই প্রত্যাবর্তনের ফলে তৃণমূলের সেই স্বপ্ন কতটা বাস্তবায়িত হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।