বালুরঘাট: অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ, মায়ের চিকিৎসাও থমকে। প্রবল অনটনে দিন কাটছে বছর ১৫-র সোনিয়া মুর্মুর। এইটুকু বয়সেই যেন সে পৃথিবীর কঠিন বাস্তব রূপ দেখে ফেলেছে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সোনিয়া তার বাবাকে হারিয়েছে। মামার বাড়ির পাটকাঠি ঘেরা ঘরে সোনিয়া, তার ভাই চিরু মুর্মু ও তার মা দিদিমণি বেসরার সংসার। মা শ্রমিক হিসেবে মাঠে কাজ করে সংসার প্রতিপালন করেন। অভাবের সংসার হলেও, দুই ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাঁধ সেধেছে তাঁর জরায়ুর সমস্যা। বেশ কিছুদিন আগে জরায়ুতে অপারেশন হয়। তারপর থেকেই তিনি কার্যত শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সংসার চালানোর কেউ না থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। সোনিয়ার মামী উর্মিলা বাস্কে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাই দিদিমণি বেসরা ছেলেকে নিয়ে বোনের বাড়িতে গিয়ে থাকছেন। পরিস্থিতি যা তাতে মায়ের অবর্তমানে সংসারের সমস্ত দায়িত্ব সোনিয়ার কাঁধে এসে পড়েছে। মামীকেও কার্যত তাকেই দেখতে হচ্ছে।
সোনিয়ার জানায়, ‘পড়াশোনা কীভাবে করব? খাবারই জোগাড় করতে পারছি না। মায়ের ওষুধ কিনে দিতে পারছি না। আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছি।‘ বড় মামী উর্মিলা বাস্কে বলেন, ‘আমার ছেলেরা দেখে না। সোনিয়া আর আমিই বাড়িতে থাকি। চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পেলে আমাদের ভালো হত।‘