শামুকতলা: ১৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সারা বছরের খাবারের জোগান হয় আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের তুরতুরি গ্রামের পান্ডু হেমব্রমের। উদবৃত্ত ধান বিক্রি করে সংসারের অন্যান্য খরচ করেন। সেই জমিতে ধান লাগাবে বলে বীজতলা তৈরি করেছিলেন পান্ডু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। শনিবার রাতে এক দল বুনো হাতি হানা(Elephant Attack) দিয়ে সমস্ত বীজতলা নষ্ট করে দিয়েছে। এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে পান্ডু হেমব্রমের। ধান লাগাতে না পারলে সারা বছরের ভাতের ব্যবস্থা কীভাবে হবে? সেটাই বড় চিন্তা এখন তাঁর।
শুধু পান্ডু নন, বুনো হাতির দল গ্রামে ঢুকে আরও বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সুপারি চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উত্তর রায়ডাক রেঞ্জের অন্তর্গত কার্তিক জঙ্গল থেকে হাতির দল ওই গ্রামে আসে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর সূত্রে। বাসিন্দারা জানান, রাতে ২০-২৫ টি হাতির একটি দল ওই গ্রামে ঢুকে অনেক ক্ষতি করেছে।
পান্ডু জানান, বন দপ্তরের কর্মীরা অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে আসেন। এর ফলে বুনো হাতিকে জঙ্গলে ফেরানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যদি সময় মতো বনকর্মীরা আসতেন তাহলে হয়তো এত বড় সর্বনাশ হত না। বনকর্মীরা অবশ্য বাসিন্দাদের অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। বুনো হাতির হানা চারিদিকে লেগে থাকে। বনকর্মীরা সারা রাত বুনো হাতির হানা ঠেকাতেই কাজ করেন। অন্য এলাকা থেকে আরেকটি এলাকায় আসতে কিছুটা সময় লেগে যায়। তাঁরা জানান, বুনো হাতির হানা ঠেকাতে রাতে টহল চলছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।