দুর্গাপুরঃ রবিবার সবে সকাল হয়েছে। সূর্যের আলো ফুটতেই নজরে এল বেশ কিছু পোস্টার। যা সাঁটানো রয়েছে দেওয়ালে দেওয়ালে। আর সেই পোস্টারের উপরে লেখা ‘চোর চোর চোর”। নিচে লেখা “খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর চোর। খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চোর”। স্বাভাবিক ভাবেই এদিন সকাল থেকে এই পোষ্টার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের খান্দরা এলাকায়।
গত ১৯ জুন পানীয় জল ও সঠিক পরিষেবার দাবিতে খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে তালা দিয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছিলেন নির্বাচিত সদস্যরাই। তার কয়েকদিন পর ২৪ জুন উপপ্রধানকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভেতর আটকে রেখে তালা দিয়ে আটকে রেখে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিললেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেদিন। এবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আর উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ‘চোর চোর চোর’ লেখা পোস্টার পড়ল। দলের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এই পোস্টার ঘিরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর দুর্নীতির অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, যারা কাজের মানুষ হয় তাদের নিয়েই সমালোচনা করা হয়। তাঁর দাবি, ‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাহলে যা শাস্তি হবে মাথা পেতে নেব। তবে এইসব পুরোপুরি বিরোধীদের চক্রান্ত।’
শাসক দলের এই গোষ্ঠী কোন্দলকে কটাক্ষের সুরে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বলেন, ‘প্রকাশ্যে আসছে প্রধান আর উপপ্রধানের দুর্নীতি। আর সেই অভিযোগ তুলছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যরা। আমরা তো কিছু করিনি বা বলিনি। আর নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।’