নাগরাকাটা: পড়ে থাকা সরকারি জমিতে (Govt Land) সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল জলপাইগুড়ি জেলার (Jalpaiguri) নাগরাকাটায়। সোমবার এলাকার দুটি জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিনই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত সরকারি মনিটারিং কমিটির একটি বৈঠকও হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, এদিন নাগরাকাটার (Nagrakata) জওহর নবোদয় স্কুল লাগোয়া স্থানে যে ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে সেখানে সাইনবোর্ড লাগানো হয়। পাশাপাশি নাগরাকাটার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বলে পরিচিত জমিতেও প্রশাসনের তরফে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
এদিন সরকারি মনিটারিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিডিও পঙ্কজ কোণার, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রজ্ঞা লেপচা, নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার প্রমুখ। নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘সরকারি জমিতে অবৈধ দখলদারি মেনে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। প্রশাসন উপযুক্ত কাজ করছে।’ বিডিও বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি জমির ওপর সমীক্ষা চলছে। তা শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
এদিকে, গত ২৬ জুন থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আওতাধীন জমির যে সমীক্ষা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল, তা এখনও চলছে। দুটি টিম ওই কাজ করছে। এর মাধ্যমে সরকারি জমি কোথাও বেদখল হয়েছে কিনা বা হলে কতটুকু সেই পূর্ণাঙ্গ তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নাগরাকাটা ব্লকে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা পাঁচটি। সুলকাপাড়া, লুকসান ও চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জমির সমীক্ষার জন্য ছয়জনের একটি টিম কাজ করছে। অন্যদিকে, আংরাভাসা ১ ও আংরাভাসা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য কাজটি করছে পাঁচজনের টিম। আগে থেকেই চিহ্নিত যে সরকারি জমিগুলি ফাঁকা পড়ে আছে সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যাতে দখলদারির সমস্যা তৈরি না হয় সেটাই নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।