রায়গঞ্জ: স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভেতর থেকে আচমকা উধাও হয়ে গেল এক খুদে পড়ুয়া। হন্যে হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাঁর খোজ মিলল স্কুলের শৌচাগারে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের বাণীমন্দির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সোমবার এই বিষয়ে খুদে পড়ুয়ার অভিভাবক রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার ১ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্কুলে ক্লাসের ভেতরেই ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই খুদে পড়ুয়া। এরপর সে মিড ডে মিলও খায়। কিন্তু ১টা ৩০ নাগাদ স্কুল ছুটির পর দেখা যায় খুদের ব্যাগটি পড়ে রয়েছে কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই শুরু হয় তাঁকে খোজা এবং প্রায় দেড় ঘন্টা পর স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় ওই খুদে পড়ুয়াকে। ঘটনাপ্রসঙ্গে ওই খুদে বলে, ‘দুটো লোক আমাকে আটকে রেখেছিল স্কুলের পেছনে।তাদের চিনি না।আমাকে চকলেটের লোভ দেখায়। এরপর একজন এসে বাথরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে যায়। আমাকে বলেছিল কাউকে বলবি না। যদি বলিস এরপর যেদিন স্কুলে আসবি সেদিন আর ছাড়ব না।’ উল্লেখ্য, ওই স্কুলের পেছনে রয়েছে একটি পরিতক্ত বাড়ি। প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত সেখানেই লুকিয়ে ছিল ওই ২ ব্যক্তি।
এই বিষয়ে ওই খুদে পড়ুয়ার বাবা নিমাই বিশ্বাস জানান, সেদিন স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ থাকায় ও বাইরে বের হল কিনা বোঝা যাচ্ছিল না। প্রায় দেড় ঘন্টা পরে পাওয়া যায় তাকে। ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিমাই বাবু। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন তিনি।
ঘটনার পর অন্যান্য অভিভাকদের মধ্যেও স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কেন সেদিন সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল উঠছে সেই প্রশ্নও। এই প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা চক্রবর্তী গুহ বলেন, ‘ঘটনার দিন সিসিটিভি ক্যামেরা অন করা হয়নি ভুলবশত। তারপর এই ঘটনা ঘটে। বাচ্চার ব্যাগ ছিল,কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।অনেক খোঁজাখুঁজি পর বাথরুমের পেছনে ভেঁজা অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। রবিবার পিছন দিকটা ঘিরে দেওয়া হয়।’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।