Friday, March 29, 2024
HomeTop Newsরক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার এক মুক বধির শিশুকন্যা, ধর্ষণের অভিযোগ বিজেপির

রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার এক মুক বধির শিশুকন্যা, ধর্ষণের অভিযোগ বিজেপির

ইটাহারঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক শিশুকন্যাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহারের নন্দনগ্রামে। সোমবার রাত থেকেই শিশুটি নিখোঁজ ছিল বলে জানা গিয়েছে। শিশুটিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেছে পুলিশ। ওই শিশুটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলেই ঘটনার তদন্ত হবে। মেডিক্যালের দাবি, পরীক্ষার রিপোর্ট মেলেনি। মিললে বিষয়টি জানা যাবে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে চড়ক পূজার মেলা চলছিল। সোমবার রাতে সেই মেলা থেকে বাড়ি ফেরে ৭ বছরের মুক ও বধির এক কিশোরি। তারপর থেকে শিশুটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের রাস্তার ধারে ওই নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপরই তাকে উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা বাড়ি নিয়ে যান। সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে প্রথমে ইটাহার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রায়গঞ্জে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির মা জানিয়েছেন, তাঁরা সোমবার রাতভর শিশুটিকে খুঁজে পাননি। পুলিশ তো তদন্ত করছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর বাবা দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মাও শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। স্থানীয়দের অনুমান কেউ তাঁকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ শিশুকন্যাটিকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। তারা ঘটনাত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে।

এদিকে শিশুকন্যাটির চিকিৎসা চলছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস। বিজেপির মহিলা মোর্চার উত্তর দিনাজপুর জেলার সম্পাদিকা সবিতা বর্মন অভিযোগ করেন, নাবালিকা ধর্ষণ করা হয়েছে। তার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যদি ধর্ষণ নাই হয়ে থাকে তাহলে একটি কিশোরীকে শিশু ওয়ার্ডে না রেখে কেন প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হল।

Sandip Sarkar
Sandip Sarkarhttps://uttarbangasambad.com/
Sandip Sarkar Reporter based in Darjeeling district of West bengal. He Worked in Various media houses for the last 22 years, presently working in Uttarbanga Sambad as Sr Sub Editor.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
- Advertisment -spot_img
[td_block_21 custom_title="LATEST POSTS"]

Most Popular