রাঙ্গালিবাজনা: মিলছে ডাল, ভাত, সব্জি, মাছ সবই। কিন্তু আয়েশ করে টান দেওয়ার জন্য মিলছে না বিড়ি! বৃহস্পতিবার সকালে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি কোয়ারান্টিন সেন্টারের আবাসিক এক যুবক। তাই বিড়ি কিনতে সটান বাজারে পৌঁছে যান তিনি। এমনই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের রাঙ্গালিবাজনায়।
কোয়ারান্টিন সেন্টারে পরিণত হওয়া রাঙ্গালিবাজনা মোহনসিং হাইস্কুলের ওপরতলা থেকে স্পাইডারম্যানের মতো দেওয়াল বেয়ে নেমে আবাসিক ওই যুবক হাজির হন চার পাঁচশো মিটার দূরে কলোনীপাড়া বাজারে। উদ্দেশ্য বিড়ি কেনা!
তাঁকে চিনতে পেরেই রে রে করে তেড়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দৌঁড়ে ওই যুবক ফের কোয়ারান্টিন সেন্টারেই ঢুকে পড়েন। আবাসিক বাজারে পৌঁছে গিয়েছেন, এখবর ছড়িয়ে পড়তেই এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা কোয়ারান্টিন সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।
রাঙ্গালিবাজনা মোহনসিং হাইস্কুলের কোয়ারান্টিন সেন্টারে প্রায় দেড়শো জন আবাসিক রয়েছেন। হাইস্কুলের সামনের গেটে পাহারায় রয়েছেন দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু পেছন দিকটি সম্পূর্ণভাবে অরক্ষিত।
এলাকার বাসিন্দা মন্মথ রায় বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই এখানকার আবাসিকরা বাইরে বের হচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার কলোনীপাড়া বাজারের একটি দোকানে এক যুবককে বিড়ি কিনতে দেখে সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি যুবক কোয়ারান্টিন সেন্টার থেকে বেরিয়ে দোকানে গিয়েছেন। পরে ওই যুবক ফের কোয়ারান্টিন সেন্টারে ঢুকে যান।’
মোহনসিং হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমল রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার দেখার কথা নয়। তবুও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু রায় বলেন, ‘আমি নিজেই দেখেছি কোয়ারান্টিন সেন্টারের আবাসিকরা বাইরে বেরিয়ে আসছেন।’ খয়েরবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্যা নমিতা রায় জানান, কোয়ারান্টিন সেন্টারের বাইরে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে পাহারাদার নিয়োগ করা হবে।
মাদারিহাটের বিডিও শ্যারণ তামাং বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। ওই কোয়ারান্টিন সেন্টারে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’