শিলিগুড়ি: পাঞ্জিপাড়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি শিলিগুড়িতে (Siliguri)। ফলে নজরদারি নিয়ে বিস্তর নির্দেশিকা, পরিকল্পনা নেওয়া হলেও ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল আদালত চত্বরের নজরদারি। এবার আদালতের লকআপে ঢোকানোর সময় পালাল মদ খেয়ে ঝামেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া নেপালের এক ব্যক্তি। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে। ঘটনার পর থেকেই লকআপের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। এমনকি বলা হয় যে, চালান এলেও আসামি আসেনি। তবে শেষ অবধি গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায়নি।
আদালত সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে খড়িবাড়ি থানা থেকে আটজন আসামিকে নিয়ে আসা হয়েছিল শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে। লকআপের গেটের সামনে চেকিং চলাকালীন আসামিদের জটলা হয়ে যায়। যদিও সেই সময় লকআপের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি র্যাফের দুই কর্মীও নজর রাখছিলেন। তা সত্ত্বেও সুযোগ বুঝে এক আসামি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খড়িবাড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আসামির নাম বিকাশ কার্কি। বাড়ি নেপালের কাকড়ভিটায়। পানিট্যাংকি এলাকায় স্পেশাল ড্রাইভ চলাকালীন মদ খেয়ে ঝামেলা করার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে এদিন আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এদিন আসামি পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। বিকেলের দিকে আদালতে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। কীভাবে ওই আসামি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেল তা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে। এই ঘটনায় পুলিশের নজরদারির অভাব যে স্পষ্ট, সেটাই জানান শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলোক ধারা। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র পরিদর্শন করে কিছু হবে না। বাস্তবে সমস্যাগুলো বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিং বলেন, ‘এখনও ওই আসামির খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’