নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় পরপরই সেদেশ থেকে ভারতে শরণার্থীর (Bangladeshi) সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভারত সরকারও এই পরিস্থিতিতে কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে সম্প্রতি বিএসএফ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)-কে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আগেই আসা অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আধার নিষ্ক্রিয় করার কথা জানিয়েছে। সন্দেহভাজন একজন বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তারের পরই, বিএসএফ পুলিশকে অবহিত করে এবং একই সঙ্গে ইউএডিএআই-কেও কার্ড নিষ্ক্রিয় করার জন্য জানায়। বিএসএফের এক আধিকারিকের মতে, এই উদ্যোগ মানব পাচার রোধেই নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার বিএসএফ এভাবে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুয়ো আধার কার্ড বাতিলের (Fake Aadhaar Card) উদ্যোগ নিল।
ইউএডিএআই ২০২২ সাল থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করেছে, যাতে ভবিষ্যতে অবৈধ অভিবাসীদের পরিচয়পত্র ইস্যু না হয়। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য একটি পোর্টালও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সন্দেহজনকভাবে প্রাপ্ত আধার কার্ডের তথ্য রেকর্ড করা হয়।
মন্ত্রকের দেওয়া হলফনামায়, ইউএডিএআই, ইমিগ্রেশন ব্যুরো, বিদেশমন্ত্রক এবং ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-কে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের মানসম্মত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও সম্প্রতি বিএসএফ ইউএডিএআই-কে চিঠি লিখে বাংলাদেশ থেকে আগত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আধার নিষ্ক্রিয় করার কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, অগাস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলাদেশ থেকে ৪০০টির বেশি ভিসার আবেদন পর্যালোচনা করেছে। যদিও সাধারণ ভিসা পরিষেবা স্থগিত রয়েছে, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সীমিত ভিসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক ভারতীয় ভিসা পেয়েছিলেন। অগাস্ট মাসে ৪৩৪টি প্রিয়ার রেফারেল চেক (পিআরসি) মঞ্জুর করা হয়েছে। একই সময়ে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ৮৭৮টি ভিসার সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।