নাগরাকাটাঃ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মালিকপক্ষ হাজির না হওয়ায় দেবপাড়ার ভাগ্য সেই তিমিরেই ঝুলে রইল। বন্ধ বাগান খুলতে শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার। সেই বৈঠকে মালিকপক্ষ হাজিরই হলেন না। সব মিলিয়ে হতাশা দেবপাড়া চাবাগানের শ্রমিক মহল। শ্রমিকদের মধ্যে ক্রমশ চড়ছে ক্ষোভের পারদ।
এর আগে দেবপাড়া নিয়ে জলপাইগুড়ির ডেপুটি লেবার কমিশনারের দপ্তরে দুটি বৈঠক হয়। প্রথমটিতে মালিকদের কোন প্রতিনিধি আসেন নি। দ্বিতীয়টিতে আসলেও মোট শ্রমিকের ২৫ শতাংশ কে নিয়ে বাগান খোলার প্রস্তাব দেন তাঁরা। মালিকপক্ষের এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকরা। এদিনের বৈঠকও মালিকপক্ষ হাজির না হওয়ায় ভেস্তে যায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। মালক পক্ষের গাছাড়া মনোভাবে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন বাগানটির শ্রমিকরা।
শ্রম দপ্তর সূত্রের খবর শারীরিক অসুস্থতার কারণে মালিকপক্ষ আসতে পারবেন না বলে শ্রম দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানান। জলপাইগুড়ির ডেপুটি লেবার কমিশনার শুভাগত গুপ্ত বলেন, ‘আগামী ১ জুন অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার মালিকপক্ষের সাথে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন বলে এদিন ঠিক হয়েছে। তার পর ফের আরেকটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হবে। বাগান খোলার জন্য শ্রম দপ্তর আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে’।
এর আগে গত ৬ মে দেবপাড়ায় কর্মবিরতির বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়। তারপর থেকে এই নিয়ে ৩ টি নিষ্ফলা বৈঠক হল। এতেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে ১৪০০ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের। শ্রম দপ্তরের ডাকা বৈঠকে তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতা নকুল সোনার, রবীন রাই, রাজু গুরুং সহ বাগানের ইউনিট কমিটির অন্য নেতারাও হাজির ছিলেন। আরেকটি সংগঠন বিজেপি প্রভাবিত ভারতীয় টি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কেউ সেখানে যান নি।
শ্রমিক নেতা নকুল সোনার বলেন, অছিলা ত্যাগ করে দ্রুত বাগান খুলতে যাতে মালিকপক্ষ এগিয়ে আসে সেই দাবির কথা জোরালো ভাবে জানানো হয়েছে। মালিকপক্ষের সংগঠন আইটিপিএ-র উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, বাগানের ম্যানেজার অসুস্থ। সেকারনেই তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারেন নি। বিষয়টি চিঠি দিয়ে শ্রম দপ্তরকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল।