উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অধীর গড়ে’ ভাঙন ধরিয়েছেন ইউসুফ পাঠান (MP Yusuf Pathan)। ফলে লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Election) জিতে দিল্লিযাত্রা হল না অধীর চৌধুরীর। তাতেই কি অভিমান হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের? শুক্রবার যে জল্পনা সামনে এসেছে তাতে এমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছে দিয়েছেন বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কয়েকদিন আগেই তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন দিল্লিতে। পদত্যাগ পত্র নাকি ইতিমধ্যেই গৃহীতও হয়েছে। যদিও কংগ্রেস (Congress) হাইকমান্ড কিংবা অধীর নিজে একথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন নি। তবে অধীরের ইস্তফা নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষো।
বাংলায় কংগ্রেস ও তৃণমূল (TMC) শিবিরের মধ্যে একটা দূরত্ব বরাবর ছিল। অথচ এই দু’দলই ‘ইন্ডিয়া’ (India Jot) জোটের অন্যতম প্রধান শরিক। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় এই দু’দলের ‘রাজনৈতিক সমীকরণ’ নিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikajurn Kharge) বলেছিলেন, ‘কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীর চৌধুরী কেউ নন। যদি কেউ সেটা মানতে না পারেন, তাহলে বেরিয়ে যেতে পারেন।’ অন্যদিকে ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে বহরমপুরে প্রচারে গিয়ে বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ জোট কার্যকর না হওয়ার জন্য অভিষেক-মমতা সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন অধীরের দিকে। এরপর জল গড়িয়েছে বহুদূর। ভোটের ফল প্রকাশ হতে দেখা যায় নিজের জয়ের ব্যাপারে ‘আত্মবিশ্বাসী’ অধীর পরাস্ত হন ‘বহিরাগত’ তারকা ক্রিকেটারের কাছে। পরবর্তীতে কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে অধীর বলেন, ‘আমি প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন, সেদিন থেকে তো ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। এবার যখন করবে, তখন দেখতে পাবেন আপনারা। আমি তো অস্থায়ী সভাপতি।’
একদিকে পরাজয়, অন্যদিকে খাড়গের সঙ্গে দূরত্ব এই দুই কারণেই অধীর ইস্তফা দিয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি অধীরের পর প্রদেশ কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নিয়েও বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যে নামগুলি ঘুরপাক খাছে তারমধ্যে রয়েছে দক্ষিণ মালদার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানের মত পোড় খাওয়া নেতাদের নাম।