উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উৎক্ষেপণের পর এখনও পর্যন্ত চারবার সফলভাবে কক্ষপথ পরিবর্তন করেছে আদিত্য এল১। ফের আজ অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর ভোররাত ২টোর সময় কক্ষপথ বদল করবে আদিত্য। এটাই শেষবার কক্ষপথ পরিবর্তন সৌরযানের। মহাকাশে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ইসরোর এই সৌরযান। ‘স্টেপস’ যন্ত্রের সেন্সরগুলি পৃথিবী থেকে ৫০ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে সুপার-থার্মাল এবং শক্তিশালী আয়ন এবং ইলেকট্রন পরিমাপ করছে। এই তথ্য হাতে পেলে পৃথিবীর চারপাশের কণার আচরণ বিশ্লেষণ করতে সুবিধা হবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের।
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে আরও সূর্যের কাছে চলে গিয়েছে ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল১। ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সফল ভাবে চতুর্থবার কক্ষপথ বদল করে আদিত্য। পঞ্চম অর্থাৎ শেষবার সৌরযান কক্ষপথ বদল করবে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত দুটো নাগাদ। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সৌরযান সফলভাবেই এগিয়ে চলেছে গন্তব্যে। সব যন্ত্রাংশ পরিকল্পনামাফিক কাজ করে চলেছে। ইসরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৫৬ কিমি X ১,২১,৯৭৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে আদিত্য। বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক, মরিশাস ও আন্দামানে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে আদিত্যর ওপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে যাবে আদিত্য। এই জায়গাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১। এখানে পৌঁছলে গ্রহণ-বিহীনভাবে সূর্যের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে আদিত্য। গন্তব্যে পৌঁছতে আদিত্য এল১-এর সময় নেবে আরও প্রায় ১০৯ দিন। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১-এ পৌঁছে সূর্যের উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় গতিবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করবে আদিত্য। ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা কীভাবে উত্তপ্ত হয়, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে এই মিশনে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে সৌর বিস্ফোরণ বা সৌর ঝড় হয়, তা নিয়েও গবেষণা করবে সৌরযান। এই সৌরঝড়ের জেরে অনেক সময়ই পৃথিবীর ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্যাটেলাইটেও সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই আবহে আদিত্যর এই পরীক্ষা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। আদিত্য এল১ স্যাটেলাইটে থাকা মোট সাতটি যন্ত্রের সাহায্যে পাঁচ বছর ধরে সূর্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে পরীক্ষা চালাবে ইসরো।