মালদা: সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের কিছু ঘটনায় থমথমে রয়েছে পরিস্থিতি। তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতিও। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মালদার প্রশাসনিক সভায় বড়সড়ো অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘দিল্লির কুড়ি-পঁচিশটা লোক মিলে মিটিং করেছে। তারা চাইছে বাংলায় জাতিদাঙ্গা লাগাতে। হিন্দু-মুসলমান করে হচ্ছে না। এখন রাজবংশী-বাঙালি লাগিয়ে দিতে চাইছে।’ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমার কাছে সব তথ্য আছে। আপনাদের কাছে নেই?’।
কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর দেহ ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিন সরাসরি সেই প্রসঙ্গ না টানলেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কালিয়াগঞ্জে কেন প্রথমে ওসি যাননি? কেন কনস্টেবলকে পাঠানো হয়েছিল? দেহ উদ্ধারের পর সবসময় সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে হয়।’ হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য জেলায় জেলায় সাইবার সেলকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশে মমতার স্পষ্ট বার্তা, ভুয়ো কিছু ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা, এমন কিছু ঘটলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কালিয়াগঞ্জের অশান্তির ঘটনায় বাইরের রাজ্য থেকে লোক ঢোকার কথা আগেও বলেছে প্রশাসন তথা শাসকদল। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার সঙ্গে বিহারের সীমানা রয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সীমানা রয়েছে। দুই রাজ্যের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করার কথাও এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর উদ্দেশ্যে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ, মালদা, রাজ্য