রায়গঞ্জ: অবশেষে তল্লাশি শেষ। প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরলেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই বিধায়কের অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা বাড়ছিল কর্মীদের মধ্যে। ২৮ ঘণ্টা অনতিক্রান্ত হলেও জেরা চলছিল। বিধায়কের অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ঘিরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিকে, আয়কর দপ্তরের আধিকারিকেরা বিধায়ককে জেরা করে কিছুই পায়নি। বেলা ১১টার মধ্যে তিনি ছাড়া পাবেন, এমন সংবাদে সকাল থেকে কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় বিধায়ক দাবি করেছিলেন, কোনও দুর্নীতি তিনি করেননি। কোনও কিছুই পায়নি। সহযোগিতা করছেন তিনি। এদিন সকাল হতেই বিধায়কের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন। তাঁরা দাবি করেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এমন খবর অনুগামীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় বাড়তে থাকে। দলের পতাকা নিয়ে আসেন অনেকে। কিন্তু বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে। আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আনাগোনা বাড়তে থাকায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিধায়কের অনুগামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি তপন নাগ বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা আনন্দেই ছিলাম। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বুঝতে পারছি না। দেখা যাক কি হয়!‘