কোচবিহারঃ বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের। নির্যাতিতার বাবা দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। নির্যাতিতা মেয়েটি নিজেও বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, মেয়ে যখন ছাগল চড়াতে যায় সেই সময় তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েকজন মহিলা। এমনকী তার গায়ের কাপড় খুলে তাকে উলঙ্গ করেও পেটানো হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে তিনি ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে শনিবার দুপুরে কোচবিহারে আসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে, শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহার পৌঁছান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁদের এদিন জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করবার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কোচবিহার পুলিশ লাইন চৌপথিতে পথ অবরোধ শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অবরোধে শামিল হন অগ্নিমিত্রা পল সহ প্রতিনিধি দলের সকলেই। আচমকা এই পথ অবরোধের ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। বেলা সাড়ে বারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অবরোধ চলে। এরপর পুলিশ লাইনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে যায় ওই প্রতিনিধি দল। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা।
সম্প্রতি, বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের রুইডাঙ্গা এলাকায়। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই বিজেপি নেত্রী কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এবিষয়ে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। নির্যাতিতা মেয়েটি নিজেও বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। অভিযোগ, মেয়ে যখন ছাগল চড়াতে যায় সেই সময় তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েকজন মহিলা। এমনকী তার গায়ের কাপড় খুলে তাকে উলঙ্গ করেও পেটানো হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে তিনি ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মনের সাফাই, এটা পারিবারিক বিবাদ। আর সেই ঘটনায় বিজেপি রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে বদনাম ছড়াতে চেষ্টা করছে।’ পুলিশ জানিয়েছে, এখানে কোন রাজনৈতিক বিবাদের অভিযোগ নেই। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, চারজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।