কলকাতাঃ টাইগার অভি জিন্দা হ্যায়! ভুখ এখনও রয়েছে। আমার ক্রিকেট নিয়ে প্যাশন শেষ হয়ে যায়নি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এখনও আমার মধ্যে ক্রিকেট বাকি রয়েছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুই ইনিংসেই রান করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৮৯। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬। পরে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু রান পাননি। সেখানে পোর্ট অফ স্পেনে শেষ টেস্ট। তারপরই আচমকা বাদ। কিন্তু কেন? জবাব আজও জানেন না আজিঙ্কা রাহানে।
বরোদার বিরুদ্ধে ৯৮। মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ৯৬। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সের হরিয়ানার বিরুদ্ধে ১০৮। চলতি রনজি ট্রফিতে নিয়মিতভাবে রান করে চলেছেন জিঙ্কস (রাহানের ডাকনাম)। সঙ্গে রয়েছে মুম্বইয়ের নেতৃত্বের দায়িত্বও। জোড়া দায়িত্ব দারুণভাবে উপভোগ করার পাশে দলকে রনজি ট্রফির সেমিফাইনালেও পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। আজ ইডেনে হরিয়ানা দখলের পর সন্ধ্যার দিকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে নিজের মনের জানালা খুলে দিলেন রাহানে। বলে দিলেন, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ তাঁর রয়েছে। যদিও কবে, কীভাবে সেটা সম্ভব, জানেন না তিনি। কারণ, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ও জাতীয় নির্বাচকদের ভাবনার উপর তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। রাহানে শুধু পারেন পারফর্ম করতে। তাঁর কথায়, ‘আমি এখনও ক্রিকেট উপভোগ করি। বিশ্বাস করি আমার মধ্যে ক্রিকেট এখনও বাকি রয়েছে।’
তাঁর মধ্যে ক্রিকেট বাকি থাকার পাশে প্যাশনও যে রয়েছে, জানিয়ে দিয়েছেন মুম্বই অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘ভুখ হোনা চাহিয়ে অন্দর মে। আর আমার মধ্যে সেই খিদেটা এখনও রয়েছে।’ ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে রান করছেন। দলকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। বছর কয়েক আগে এভাবেই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে সুযোগ পেয়েছিলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভারতীয় দলে। ওভালে সেই ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া হেরে যায়। আর দুই ইনিংসে রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হাজির হওয়ার পরই ভারতীয় ক্রিকেটের মূল স্রোত থেকে হারিয়ে যান রাহানে। কেন? জবাবে জিঙ্কস বলছেন, ‘ডব্লিউটিসি ফাইনালের দুই ইনিংসেই রান করেছিলাম। কিন্তু তারপরও কেন টেস্ট দল থেকে বাদ যাই, আজও জানি না। নির্বাচকরা বলতে পারবেন কেন এমন হয়েছিল।’ ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী? রাহানের কথায়, ‘আমার মধ্যে ক্রিকেটের প্যাশন এখনও রয়েছে। যতদিন থাকবে, খেলব। জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারেও আমি আশাবাদী। কিন্তু বাকি কোনও কিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে নেই।’
হরিয়ানাকে হারিয়ে মুম্বইকে রনজি সেমিফাইনালে তুলে দিয়ে রাতেই কলকাতা থেকে মুম্বই ফিরে গেলেন রাহানে। আপাতত দিন দুয়েক পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন। তারপর ফিরবেন সেমিফাইনাল ম্যাচে। রনজিতে মুম্বইয়ের ভাগ্যে যাই থাকুক না কেন, এক মাস পর রাহানেকে কলকাতায় ফিরতেই হবে। সৌজন্যে আইপিএল। রাহানে এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে। তাঁকে নাইটদের অধিনায়ক করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনি কি কেকেআরের অধিনায়ক হচ্ছেন? এমন অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনেও সাবলীল ডিফেন্স রাহানের। হাসতে হাসতে বলে দিলেন, ‘আমি নেতৃত্ব উপভোগ করি। যদি আমায় দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আপনাদের কাছেই আগে খবর আসবে। আমার এই ব্যাপারে এখনও কিছু জানা নেই। সময় হলে এই ব্যাপারে কথা বলা যাবে।’