লন্ডন: বিয়ন বর্গ, পিট সাম্প্রাস, রজার ফেডেরার ও নোভাক জকোভিচ। এই চার টেনিস তারকার মধ্যে মিল কোথায় বলুন তো? প্রত্যেকেই টানা তিনবার উইম্বলডন জিতেছেন। ১৩ জুলাই এই তালিকায় নাম উঠতে পারে টেনিসের নতুন পোস্টারবয় কার্লোস আলকারাজ গার্ফিয়ারও। গত দুই বছর টেনিসের কুলীনতম গ্র্যান্ড স্ল্যামে ট্রফি ছুঁয়ে দেখেছেন। উইম্বলডনে খেতাবের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে বিশ্বের দুই নম্বর আলকারাজ সোমবার ফ্যাবিও ফগনিনির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবেন।
মুখে স্বীকার না করলেও টানা তিনবার উইম্বলডন জয়ের স্বপ্ন দেখছেন আলকারাজ নিজেও। রবিবার সেন্টার কোর্টে প্র্যাকটিসের ফাঁকে স্প্যানিশ তারকা বলেছেন, ‘আমি এখানে ট্রফি জিততে এসেছি। টানা তৃতীয়বার উইম্বলডন খেতাব হাতে নিতে চাই। জানি বেশ কিছু খেলোয়াড় টানা তিনবার উইম্বলডন জিতেছে। কিন্তু সত্যি বলতে, আমি সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। আমি শুধু প্রতিটা ম্যাচের জন্য তৈরি থাকতে চাই। আগামী দুই সপ্তাহ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও লম্বা হতে চলেছে।’
চোটের জন্য মাদ্রিদ ওপেন মিস করার পর ফরাসি ওপেন ও লন্ডনে কুইন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে উইম্বলডনে নামছেন আলকারাজ। দিন দুয়েক আগে সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। আলকারাজের কথায়, ‘ঘাসের কোর্টে শুরুতে মুভমেন্টে একটু জড়তা থাকে। তবে একবার অভ্যাস গেলে আপনি কোর্টে উড়তে থাকবেন। আমি ড্রপ শট, নেট প্লে, আগ্রাসী টেনিস ভালোবাসি। যার জন্য ঘাসের কোর্টে খেলতে ভালোলাগে। আমার মনে হয়, ঘাসের কোর্টে এটাই টেনিস খেলার সেরা উপায়।’
আলকারাজের সঙ্গে প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে নোভাক বলেছেন, ‘এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী টেনিস কোর্ট। সবুজ ঘাসে মোড়া কোর্টটিকে দেখতে অসাধারণ লাগছে। এখানে খেলার সুযোগ পেয়ে আমরা সত্যি ভাগ্যবান। আমি আরও সৌভাগ্যবান, কারণ আলকারাজ তাঁর প্র্যাকটিস পার্টনার হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছে। ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।’ জকোভিচের পালটা প্রশংসা করে আলকারাজ বলেছেন, ‘জকোভিচ নয়, আমি সৌভাগ্যবান। কারণ ও কিন্তু সাতবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। ওর সঙ্গে অনুশীলন করাটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’
এদিকে, ফরাসি ওপেনে আলকারাজ-জানিক সিনারের মহাকাব্যিক ফাইনাল প্রথমে দেখতে চাননি জকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘আমি সত্যি ম্যাচটা প্রথমে দেখতে চাইনি। আমার স্ত্রী অবশ্য ফাইনালটা দেখতে চেয়েছিল। ওইদিন আমরা দুপুরে লাঞ্চে গিয়েছিলাম। তাই খেলার প্রথমভাগটা দেখা হয়নি। পরে লাঞ্চ থেকে ফিরে এসে বাকি খেলাটা দেখেছি। তবে এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক ম্যাচ। এজন্য দুই তারকাকেই কৃতিত্ব দিতে হবে।’