শিলিগুড়ি: রাস্তার পাশে গাছতলায় দাঁড় করানো টোটোর চারপাশে কিছু তরুণের জটলা। তার মাঝে এক ব্যক্তি ব্যস্ত কলকের মধ্যে গাঁজা ভরতে। একটু এগিয়ে গিয়ে তাদের সামনে দাঁড়াতেই কলকে লুকিয়ে নিয়ে যে যার মতো কেটে পড়ার জোগাড়। ঘটনাটি আর কোথাও নয়, শহরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শিলিগুড়ি কলেজের পেছনের রাস্তার। যেখানে রাতে নয়, দিনদুপুরে চলছে নেশার আসর।
এখানেই শেষ নয়, এদিনই দেখা গেল ওই রাস্তার ওপর ঠিক পার্কের পাশে একটি স্কুটার দাঁড় করিয়ে দুই তরুণ জলের বোতলে মদ ঢালছে। তখন দুপুর দেড়টা। সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ক্যামেরা বের করতেই দুটি বোতল স্কুটির সামনের পাদানিতে রেখে দুজনই সেখান থেকে চম্পট দিল। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের পাড়ায় তাঁর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে যদি এমনটা চলে তবে শহরের পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিলি সিনহা বলছেন, ‘আমি নিজে একাধিকবার কলেজের পেছনের আড্ডা বন্ধ করেছি। যারা নেশা করে তারা বাইরে থেকে আসে। কিছু টোটোচালক রয়েছে যারা নেশার সামগ্রী সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। যারা আসরে অংশ নেয়, তাদের সিংহভাগ তরুণ। দিনেরবেলায় যাতে কলেজপাড়ায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়, তা নিয়ে থানায় কথা বলব।’
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সঞ্জয় ঘোষের বাড়ি ওই এলাকাতেই। সঞ্জয়ের কথায়, ‘যারা এখানে নেশার জন্য আসছে সকলেই বেপাড়ার। যাতায়াতের রাস্তায় প্রায়শই দেখি স্কুটারের ভেতরে মদ নিয়ে এসে নেশার আসর বসাচ্ছে। কিছু টোটোচালকও নেশা করছে এখানে। ওয়ার্ড কাউন্সিলার আসর বন্ধ করতে অনেক চেষ্টা করছেন। পুলিশি টহলদারি রাতে চলায় নেশার আসর বর্তমানে দিনেরবেলায় শুরু হয়েছে। এমনটা চলতে দেওয়া যায় না।’
রাস্তারটির পাশেই রয়েছে শিলিগুড়ি কলেজের গার্লস হস্টেল, কমার্স কলেজের ভবন, মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ। রাস্তায় এমন নেশার আসর নজরে পড়ছে পড়ুয়াদেরও। ফলে তাঁদের মনেও বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ রঞ্জন সরকার বলছেন, ‘সন্ধ্যাবেলায় এমন আসর আগে বসতে দেখেছি। দিনেরবেলাতেও এমনটা চললে তা চিন্তার। এবিষয়ে নিশ্চিতভাবে স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।’
মাস ছয়েক আগে কলেজপাড়ায় এক তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কলেজপাড়ায় শিলিগুড়ি কলেজের পাশাপাশি শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুল, হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয় ও একাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেইদিক থেকে এলাকাটিকে এডুকেশন হাব বললে ভুল হবে না। সেই জায়গায় এমন আসর প্রশ্ন তুলে দেয় অনেককিছু।
শ্লীলতাহানির ঘটনার পর কলেজপাড়ায় পুলিশি টহলদারির পাশাপাশি উইনার্স বাহিনীরও টহলদারি বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই টহলদারি কলেজপাড়ায় আর চোখে পড়ে না বলেই এলাকাবাসীদের দাবি। স্থানীয় বাসিন্দা সুস্মিতা চক্রবর্তীর কথায়, ‘এমনিতে অন্য রাস্তার তুলনায় কলেজের পেছনের রাস্তাটি শুনসান থাকে। তাই সেখানে নেশার আসর বসে। মেয়েরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেই ভয় পায়।’
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির খাবারের প্রতি টান অদম্য। আর তাতে যদি হয় চপ, সিঙারা…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জেলবন্দি অবস্থাতেই আরও বিপাকে পড়লেন আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী…
অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: অবশেষে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Alipurduar Hospital) শুরু হতে চলেছে হাইব্রিড সিসিইউ (Hybrid…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রথের দিন জিলিপি খাবে না, এরম বাঙালি বোধহয় খুব কমই আছে।…
মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, রাঙ্গালিবাজনা: আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের খয়েরবাড়ি ও রাঙ্গালিবাজনায় একের পর এক মহল্লা…
মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: কোথাও কোমর, কোথাও বুকসমান জল (Flood Like Situation)। শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘর…
This website uses cookies.