Coochbehar | জলাজমি ভরাটের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

কোচবিহার: জলাজমি অবৈধভাবে ভরাট করার অভিযোগ প্রায় সব জেলা থেকেই পাওয়া যায়। এবার এই কারবারের সঙ্গে নাম জড়াল এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসকের। চিকিৎসক দিলীপ পালের বিরুদ্ধে সোমবার জেলা পরিষদ সদস্য পরিমল বর্মন মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা শাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে কোচবিহারে। যদিও দিলীপ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

সরকারি বিধি অনুযায়ী, নিয়ম না মেনে জলাজমি ভরাট করা পুরোপুরি অবৈধ। কিন্তু এমজেএন মেডিকেলের ওই চিকিৎসক সেসব মানছেন না। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারি মৌজায় ঠাকুরানি নামে একটা মরা নদী রয়েছে। অনেকে আবার সেটিকে সোনারি কুটি বলে চেনেন। পরিমল তাঁর অভিযোগপত্রে জানান, দিলীপ স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতীদের নিয়ে মরা নদীটির একটা বড় অংশ ভরাট করছেন। পরিমল বলেন, ‘নদীটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে।’ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা বলেন, তাঁরা এর প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রেখেছেন।

তিনি জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে গিয়ে তিনি ২ জুন নদী ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলেন। তারপর ফের কাজ শুরু হয়। চলতি মাসের ১২ তারিখ ফের কাজ বন্ধ করে গিয়েছিলেন। বারবার বলার পরেও নদী ভরাট বন্ধ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ নদীর ওই অংশ ভরাট হয়ে গেলে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে জানতে জেলা শাসক অরবিন্দকুমার মিনাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য মেলেনি।

এদিকে, অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক দিলীপ পাল। তাঁর কথায়, ‘ওই জায়গার পাশে আমার একটা উঁচু জমি রয়েছে। নীচু জমিটা আমার কেনার কথা ছিল। একজন বিপদে পড়ে সেই জমি আমার কাছে বিক্রি করতে এসেছিলেন।’  তিনি জানান, ওই জমিটির পেছনে রাস্তাঘাট কিছুই নেই। অন্য কেউ নিতে চাইলেও পারবে না। তবে নীচু জমি হওয়ায় তিনি প্রথমে নিতে চাননি। জমির মালিক নাকি তাঁকে জমি ঠিক করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। দিলীপ বলেন, ‘আমার উকিল তখন জমির মালিকের নাম উল্লেখ করে কাগজে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ওই জমি তাঁর মক্কেল কিনতে ইচ্ছুক। যদি কারও কোনও দাবি বা অভিযোগ থাকে, ১৫ দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার কথা জানানো হয়। নীচে উকিলের মোবাইল নম্বরও দেওয়া ছিল।’ তারপর কেউ এসেছিল কি না, সে বিষয়ে সদুত্তর মেলেনি।