পতিরাম: মহিলাদের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামীণ ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পারপতিরাম এলাকায়। অভিযোগের তীর গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক বাউল শাখার পারপতিরাম এলাকায় অবস্থিত সিএসপির মালিকের বিরুদ্ধে।
প্রতারিত মহিলাদের অভিযোগ, তিন-চার বছর ধরে অ্যাকাউন্ট করলেও পাসবই দেওয়া হয় না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলতে গেলেই আঙুলের ছাপ কয়েকবার নিয়েই বলা হয় অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে নি কিংবা লিংক নেই। এমনকি পাসবই না থাকায় ট্র্যানজ্যাকশন বা লেনদেনের আপডেট করাতে পারেন না তারা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে কি ঢোকে নি সিএসপিতে গিয়ে সত্যতা যাচাই করতেও পারেন না। এদিন প্রতারিতরা টাকা ফেরতের দাবিতে ওই সিএসপি কেন্দ্রটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে থানার দ্বারস্থ হন বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় বিজেপি নেতা কৈলাস সিং বলেন, এর আগেও এরকম একটা ঘটনায় ঘেরাও হয়েছিল এই মালিকটি। আজ যে দশ,বারো জন প্রতারিতরা এসেছেন ব্যাপারটা শুধু এটুকুই নয়, প্রচুর গরীব নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষদের এভাবে বোকা বানাতেই থাকেন এই লোকটি। এমনকি তিন চার বছর ধরে বই না দেওয়ার কারণই হল কেউ প্রিন্ট করতেও পারবে না, লেনদেনের হিস্ট্রিও পাবে না। কত লক্ষ টাকা যে এভাবে তুলেছে কে জানে? আমরা সবাই মিলে পুলিশের কাছে গিয়ে বলেছি।’ যদিও সিএসপির মালিক জয়ন্ত পাল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর ব্যাঙ্ক থেকে তাদের বই দেওয়া না হলে তারা কীভাবে দেবেন।’